নতুন বই
রুদ্রের ‘কিয়ারোস্তামির সিনে-রাস্তা’

ইরানি তথা বিশ্বসিনেমার অন্যতম স্বতন্ত্রধারার প্রবল প্রভাববিস্তারী, মহাকাব্যিক, মাস্টার ফিল্মমেকার আব্বাস কিয়ারোস্তামি প্রয়াত হয়েছেন গত বছর। দৈহিক মৃত্যু এসে তাঁর সুদীর্ঘ ফিল্ম-ক্যারিয়ারের সমাপ্তিরেখা টেনে দিলেও সিনেমার ফ্রেমে ফ্রেমে অনবদ্য ধ্যানী সব ইমেজ ছড়িয়ে যাওয়া এই ঋষিতুল্য ফিল্মমাস্টারের সিনে-মহিমার ব্যাপারে সরল কোনো সারাংশ টানা অসম্ভবপ্রায় এবং সেই প্রচেষ্টা দেখানো অবান্তরও বটে; বরং জীবনের মতোই এক ইমেজের আড়ালে অসংখ্য এবং প্রায়ই বিপরীতমুখী বৈশিষ্ট্যের অগুনতি সম্ভাবনা ও এমনকি আশঙ্কাগুলোর সঙ্গে বোঝাপড়া করার উদ্দেশ্যেই ‘কিয়ারোস্তামির সিনে-রাস্তা’ গ্রন্থের অবতারণা।
বইটিতে কিয়ারোস্তামিকে ঘিরে নানা সময়ে নানা দেশ থেকে ইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত নানা গ্রন্থ, জার্নাল, সংবাদপত্র, ওয়েবম্যাগ প্রভৃতি সূত্রের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। গ্রন্থটির শুরুতেই স্থান পেয়েছে তাঁকে নিয়ে লেখা সুদীর্ঘ এক গদ্য; পৃষ্ঠার হিসেবে যেটির ব্যাপ্তি ৫১ পৃষ্ঠা। এ গদ্যে তাঁর জন্মভূমি ইরানের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উথালপাতাল নানা পর্যায়ের ভেতর, পারস্য কাব্যের মরমি পারম্পর্যে, ফিল্মমেকার হিসেবে তাঁর বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে, স্বতন্ত্র সিনে-রাস্তা আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে জীবনের শেষ মুহূর্তটিতে পৌঁছানো পর্যন্ত পুরু জার্নিটি বিশদ বিশ্লেষণের ভেতর দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। গ্রন্থটিতে আরো রয়েছে নানা সময়ে দেওয়া তাঁর ২৪টি ছোট, বড় ও সুদীর্ঘ সাক্ষাৎকার। আছে ‘টেস্ট অব চেরি’, ‘ক্লোজআপ’, ‘দ্য উইন্ড উইল ক্যারি আস’, ‘হ্যোয়ার ইজ দ্য ফ্রেন্ড'স হোম?’, ‘থ্রু দ্য অলিভ ট্রিজ’, ‘শিরিন’, ‘লাইক সামওয়ান ইন লাভ’ সহ তাঁর নির্মিত ২৬টি সিনেমার সমালোচনামূলক ও বিশদ রিভিউ।
গ্রন্থটি গ্রন্থনা ও অনুবাদ করেছেন রুদ্র আরিফ। আনিসুজ্জামান সোহেলের আঁকা প্রচ্ছদে এটি প্রকাশ করেছে ভাষাচিত্র। বইটি প্রকাশ করেছে ভাষাচিত্র (স্টল ৬১০-৬১১), ৪৩২ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য ৬৭৫ টাকা।