দেখি ছোট ছবি
টিউবলাইটের চাঁদ

সন্ধ্যার পর রাজধানীতে আলো জ্বলে না। জ্বলে মোমবাতি। চারদিকে শুধু অন্ধকার। থানা থেকে মহল্লার চায়ের দোকান—কোথাও কোনো বাতি নেই। এই অন্ধকার এসেছে প্রেম থেকে।
ছবির শুরুতে ভয়েস ওভারে শোনা যায়, ‘সেই রাতে চান্দের সাথে টিউবলাইটের প্রেম হয়ে যায়। কী ছিল সেই রাতে?’
টিউবলাইটের সঙ্গে চাঁদের প্রেমের রহস্য কী? রাজধানীর এক টোকাইয়ের নাম টিউবলাইট। এক সন্ধ্যায় আকাশ থেকে চাঁদটা পেড়ে নেওয়ার ইচ্ছা হয় তার। অনেক উঁচু থেকে লাফ দিয়েও চাঁদটা ধরতে পারে না সে।
তাই পৃথিবীতেই আরেকটা চাঁদ তৈরির ইচ্ছা হয় টিউবলাইটের।
তখন থেকেই বাল্ব চুরি করা শুরু করে সে। কিন্তু এ নিয়ে শহরে হুলস্থূল পড়ে যায়। কেউ খুঁজে পায় না, কে শহরের বাল্বগুলো চুরি করছে!
টিউবলাইট নিজের চাঁদ তৈরি করে। সেই চাঁদ ঘিরে তার কত উৎসব। কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না টিউবলাইটের চাঁদ। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। কিন্তু তার পর?
১০ মিনিটের স্বল্পদৈর্ঘ্য এই বাংলা ছবি মুক্তি দেওয়া হয় ২০১০ সালে। শ্লোক শর্মার চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ছবিটি প্রযোজনা করেছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ। ছবিতে টিউবলাইটের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাস্টার মোহাম্মদ শরীক।