ছড়া ও রঙিন ছবির বই বেশি বিক্রি হচ্ছে
‘আমি সব ধরনের গল্পের বই পড়তে পছন্দ করি। আজ মেলা থেকে অনেক গল্পের বই কিনব। এর মধ্যে ভূতের বইও কিনব।’ কথাগুলো আজ শুক্রবার একুশে বইমেলায় এনটিভি অনলাইনকে বলেছিল ছোট্ট জাইমা। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে সে।
উত্তরা থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে শিশুপ্রহরে মেলায় এসেছে জাইমা। আজ ছুটির দিন হওয়ায় মেলা শুরু হয়েছে সকাল ১১টায়। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। এ সময় বইমেলা প্রাঙ্গণ ছিল শিশুদের রাজত্বে। অভিভাবকের সঙ্গে আসা প্রতিটি শিশুই ছিল হাস্যোজ্জ্বল। কিনেছে তারা পছন্দ অনুযায়ী বই। দূর থেকে দেখে মনে হবে, এ যেন শিশুদের আনন্দের উৎসবের বড় হাট।
মোহাম্মদপুর থেকে মায়ের সঙ্গে মেলায় এসেছে আহনাফ। ক্লাস ওয়ানে পড়ে সে। ছবি আঁকার বই কিনবে। আহনাফ বলে, ‘কার্টুনের বই আর ছবি আঁকার বই আমার সবচেয়ে ভালো লাগে। আমি আঁকতে ভালোবাসি।’
শিশুপ্রহর চলাকালীন ছোটদের বইয়ের স্টলগুলোতে ছিল শিশু ও অভিভাবকদের ভিড়। টাপুর টুপুর প্রকাশনার বিক্রেতা প্রভাত বলেন, ‘ছড়ার ও রঙিন ছবির বই বেশি বিক্রি হচ্ছে। শিশুরা রঙিন গল্পের বই অনেক পছন্দ করে। এ ছাড়া যে গল্পে মজা আছে, তারা সেটা পছন্দ করে।’
ঝিঙেফুলের বিক্রেতা কলি বলেন, ‘মোটু ও পাতলুর বই শিশুরা চাইছে। এ ছাড়া সায়েন্স ফিকশন আমাদের এখানে ভালো বিক্রি হচ্ছে।’
অন্যদিকে, ‘ডাঙ্গুলি’র বিক্রেতা ফরিদ আহমেদ ও আঁখি জানান, তাঁদের কাছে শিশুরা আদর্শলিপির বই চাইছেন। ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘অনেক শিশু আজ বর্ণমালার বই চেয়েছে। আমি বিস্মিত হয়েছি, একজন স্লেটও চেয়েছে। এ ছাড়া রঙিন গল্পের বইয়ের প্রতি শিশুদের আগ্রহ রয়েছে।’
কলাবাগান থেকে প্রতিভা ব্যানার্জি তাঁর চার বছরের শিশুকে নিয়ে মেলায় এসেছেন। প্রতিভা ব্যানার্জি বলেন, ‘আমার ছেলে গল্পের বই পড়তে ভীষণ পছন্দ করে। আমাদের বাসায় অনেক বই। আজও অনেক বই কেনার ইচ্ছে রয়েছে। মেলা ঘুরে যা যা ভালো লাগবে, সব বই কিনব।’
শিশুপ্রহরে বই কেনার পাশাপাশি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে অনেক শিশু। সব মিলিয়ে আজকের শিশুপ্রহর ছিল জমজমাট।