রকিবুল ইসলাম মুকুলের নতুন দুই উপন্যাস

অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬ তে প্রকাশিত হয়েছে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রকিবুল ইসলাম মুকুলের দুটি নতুন উপন্যাস। এর মধ্যে ‘এখন অনেক রাত’ একটি রোমান্টিক উপন্যাস এবং ‘ সেন্টমার্টিনে টিনা’ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী।
বাংলাবাজারের খ্যাতিমান প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অনিন্দ্য প্রকাশ বই দুটি প্রকাশ করেছে। দুটি উপন্যাসেরই প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ।
গদ্য ও কবিতা দুই মাধ্যমে বিচরণ হলেও রকিবুল ইসলাম মুকুল কথাসাহিত্যে মানবজীবনের বহুমাত্রিক রূপের সন্ধান করে থাকেন। রকিবুল ইসলাম মুকুল মূলত সহজ শব্দ ও ছোট ছোট বাক্যে ছন্দময় গতিতে তাঁর সাহিত্যকে গতিময় করেন। তাঁর উপন্যাসে বাস্তবতা এবং মানুষের স্বপ্নময় নিজস্ব ভুবনের দ্বৈরথকে একীভূত করে পাঠকদের নিজস্ব একটি ভুবনে নিয়ে যান।
১১২ পৃষ্ঠার ‘এখন অনেক রাত’ উপন্যাসটির দাম রাখা হয়েছে ২০০ টাকা এবং সেন্টমার্টিনে টিনা - বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীটির দাম রাখা হয়েছে ১৫০ টাকা। বইমেলায় অনিন্দ্য প্রকাশের ২৯৩-২৯৬ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে উপন্যাস দুটি।
কাহিনী সংক্ষেপ (এখন অনেক রাত)
হঠাৎ পরিচয়েই কাছের মানুষ হয়ে যায় সাগর-পলি। সুন্দর আগামীর স্বপ্নের জাল বুনে কেটে যায় কিছুটা সময়। বদলে যায় পলি। এক রাতে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় বাড়ি থেকে। পালিয়ে বিয়ে করে মধ্যবয়স পেরুনো অন্য একজনকে। বিভীষিকাময় জীবনের স্বাদ নিয়ে পা দেয় মৃত্যুর দুয়ারে। নরক যন্ত্রণা থেকে ফিরিয়ে আনে সাগর। পাগলের মতো পলিকে চাইতে থাকে। কিন্তু পলি কিছুতেই সাগরের হতে চায় না। খুব বেশি ভালোবাসে বলেই ছায়ার মতো সাগরের জীবনের তৃতীয়াংশ হয়েই কাটিয়ে দিতে চায় বাকি জীবন। নিজের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে সাগরের স্বপ্নের জালে রসদ জুগিয়ে যায়। এত ভালোবেসে, এত কাছে থেকেও- কেন এই টানাপড়েন! সামাজিক বন্ধনে জড়াতেই কেন শুধু পলির আপত্তি! ‘এখন অনেক রাত’ বলেই কী পলির জীবনে অমন ঘোরতর অন্ধকার!
কাহিনী সংক্ষেপ (সেন্টমার্টিনে টিনা)
এক হাজার বছর আগে রাজা পরশুরামের রাজত্বে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আকস্মিক হাজির হয়েছিল মায়াবী তরুণী টিনা। কৌশলে হেরে গিয়ে ধরা পড়ে যায় পরশুরাম বাহিনীর হাতে।
জিয়ৎকুণ্ডে ফেলে অন্ধকারে ঢেকে রাখা টিনার চার্জ ফুরিয়ে যায়, অকার্যকর হয়ে যায় সোলার সিস্টেম। হাজার বছর পরে এক কৃষকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া দুর্লভ দুটি বইয়ের একটি চলে যায় ইয়াবা পাচারকারী আন্তর্জাতিক চক্রের হাতে। রাতের আঁধারে টিনাকে তুলে নেওয়া হয় চোরাকারবারীদের ল্যাবে। শারীরিক পুনর্গঠন শেষে টিনা হয়ে ওঠে ইয়াবা পাচারকারী চক্রের অমোঘ হাতিয়ার। নিয়মিত ঘটতে থাকে একই ধরনের গুপ্তহত্যা। মাঠে নামে প্রাইভেট সিক্রেট সার্ভিস। টিনাকে নিয়ে গবেষণায় ল্যাব সাজিয়ে তোলেন ক্ষেপাটে বিজ্ঞানী ড. আহমেদ। শুরু হয় দুঃসাহসিক অভিযান। শেষ পর্যন্ত টিনা কী ফিরে পাবে তার মানবিক অনুভূতির ন্যানো চিপ!