Skip to main content
NTV Online

শিল্প ও সাহিত্য

শিল্প ও সাহিত্য
  • অ ফ A
  • গদ্য
  • কবিতা
  • সাক্ষাৎকার
  • গ্রন্থ আলোচনা
  • বইমেলা
  • চিত্রকলা
  • শিল্পসাহিত্যের খবর
  • পুরস্কার ও অনুষ্ঠান
  • চলচ্চিত্র
  • আলোকচিত্র
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • শিল্প ও সাহিত্য
ছবি

বর্ণিল সাজে সেমন্তী সৌমি

লাল টুকটুকে মিম

একান্তে তাহসান-রোজা

মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর ৫ খাবার

মেট গালা ফ্যাশনে দ্যুতি ছড়ালেন কিয়ারা

গ্রীষ্মের ফুলে ভিন্নরূপে রাজধানীর প্রকৃতি

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণে প্রধান উপদেষ্টা

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার

পুলিশ সপ্তাহ শুরু

স্টাইলিশ মিম

ভিডিও
নাটক : প্রেম আমার
নাটক : প্রেম আমার
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৮
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৮
জোনাকির আলো : পর্ব ১২২
জোনাকির আলো : পর্ব ১২২
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ৭
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ৭
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩৮
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩৮
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮১
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮১
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৪
আকিমুন রহমান
১২:১৮, ২৫ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১১:১৪, ০২ এপ্রিল ২০১৫
আকিমুন রহমান
১২:১৮, ২৫ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১১:১৪, ০২ এপ্রিল ২০১৫
আরও খবর
কাজী নজরুল ইসলাম : দ্রোহের কবি, সম্প্রীতির কবি
আন্দোলন-সংগ্রাম, রাজনীতিতে নজরুল-সাহিত্যের প্রভাব
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এশিয়া অঞ্চলে বিজয়ী ফারিয়া বাশার
স্বাগত ১৪৩২: বাংলা নববর্ষ বাঙালির উৎসব
ঢাকার ঈদ মিছিলে মোগল ঐতিহ্য
উপন্যাস কিস্তি ১৬

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন

আকিমুন রহমান
১২:১৮, ২৫ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১১:১৪, ০২ এপ্রিল ২০১৫
আকিমুন রহমান
১২:১৮, ২৫ মার্চ ২০১৫
আপডেট: ১১:১৪, ০২ এপ্রিল ২০১৫

তুফানে তুফানে ফাতা ফাতা চাইর দিক!

ইমাম হুজুরে সেই সন্ধ্যায় খালি হাতে ফিরতি আসে, না, য্যান ছায়ছোট্ট গেরামখানের মাথায় কঠিন ঠাটাটা পড়ে! সেই ঠাটা গেরামের জবান একেবারে বন্ধ কইরা দেয়। জুলেখার হারানির পরে লোকে মাইয়াটার লেইগা ভাবনা করছে, আফসোস করছে, এই-তাই নানান কথা কইছে; কিন্তু গেরামের বাতাসে লোকের গলার আওয়াজখান শোনা গেছে। কেন না তখন লোকের অন্তরে আশাখান ছিল। আশা ছিল যে, কোনো না কোনো প্রকারে পাওন যাইবোই জুলেখারে।

কিন্তু হজুরেও যখন বিফল হয়ে ফিইরা আসে; তখন, লোকে ঠাটাপড়া আধামরার দশায় যায় ঠিক, কিন্তু লগে লগে য্যান সেই পরত্থম, স্পষ্ট চক্ষে বিপদরে ভালামোতন দেখার অবস্থাটাও পায়। দেখে যে, বিষয়খানা হালকা-পাতলা না। বিষয়খান গুরুতর। কিন্তু, সেই গুরুতর বিষয়রে নিষ্পত্তি করনের কোনো শক্তি তাগো নাই। কী থেইক্কা কী হইলো, সেইটা তরি বোজোনের খ্যামতাটা তাগো নাই! গেরামে  যে শনির দিষ্টি পড়ছে,তারা জানতাছে। লগে এও জানতাছে যে, সেই দিষ্টির কামড় থেইক্কা রেহাই পাওনের কোনো উপায় তাগো জানা নাই।

নিজেগো চলোন-ফিরন, বাঁচন-মরণ সবকিছু নিয়া তাগো সগলতেরে থাকতে হইবো সেই দিষ্টির সামনে। থাকতে হইবো চোরের মতন আলগোচ্ছে। আছে,কিন্তু নাই হইয়া। নাই,রেহাই নাই আর কোনোজনেরই। এই ত্তো একজোনেরে দংশন দিছে সেই দিষ্টি,অখন অন্য আরেকজোনের দিগে আরেক দংশন আইলো বইল্লা!

সংসারে ভালাইরে পাওনের আর আশা নাই! বিরাট ডর লাগা ধরে তাগো। এই ডরের ঠাডাখান তাগো সগলতেরে উপরে য্যান একলগে পড়ে। পইড়া; সগলের জান-পরান,হাত-পাও-মোখরে বোবার হদ্দ বোবা বানায়ে দেয়। গেরামের কোনো একটা ভিটিতে একটা পোলাপানেসুদ্ধা চিক্কুর দিতে ডরাইতে থাকে। কোনোখানে একটা চড়া গলা-খেঁকানী পর্যন্ত ওঠে না। মাঝে মইধ্যে এট্টু গলা-নামানি ফ্যাসফ্যাস ওঠে ঠিক; তয়,সেইটাও না-পারতে। এই কোনোরকম ঠেকার কর্মখান সারানি দেওয়ার জন্য। নাইলে দিনের পর দিন দেওভোগ গেরাম পইড়া থাকে সুমসাম নিঃসাড়,পইড়া থাকে দাঁতি-খাওয়া শইল্লের মতন।

সেই তবদা-খাওয়া, ঠাডাপড়া দশারে এই গেরামও একদিন পার হয়ে যাবে, তবে তার জন্য সময় লাগবে। আবার লোকের সংসারে সংসারে নিত্যিকার ফ্যাসাদ-কোন্দল বরাবরের মতন আসা-যাওয়া শুরু করবে, তবে তার জন্য একটু সময় লাগবে। আবার এসে উঠবে হাসি-আহ্লাদ, রাগ-গোস্বা।  কোনো না কোনো বাড়িতে আসবে বিয়া-শাদীর কাজকর্ম। তবে, তার জন্য একটু সময় লাগবে।

আবার নাক-বিন্ধানী, কান-বিন্ধানী, মুসলমানি, নাইলে সই-পাতানির কারণে নানা রকম দাওয়াত-পানির আঞ্জাম চলতে থাকবে নানাজনের ঘরে। নিয়ম মতো ঘরে ঘরে সন্ধ্যাবাত্তি দিতে দিতে নানান ভিটির ছোটো ছোটো মেয়েগুলা ক্রমে বড়ো হয়ে উঠতে থাকবে, আগের মতোই। তবে তার জন্যও একটু সময় লাগবে। তার আগে অনেক অনেক দিন দেওভোগ গেরাম পড়ে থাকবে এমনি না-মরা না-জ্যাতা দশায়।

প্রিয় পাঠক, থাকুক এখন দেওভোগ গেরাম তার এই স্তব্ধ দশা নিয়ে পড়া। থাকুক ডরে, থাকুক সর্বনাশের আশঙ্কায়। তার ভাগ্য নিয়ে থাকুক পড়ে সে। আমরা এদিকে অন্য আরেকটা অপ্রকাশ্য, কিন্তু তুমুল গভীর বিষয়ের সন্ধান সেরে নিই। সেই সন্ধানটাও আমাদের জন্য জরুরি। চলুন, জুলেখাকেও রেখে দিই ভাগ্যের হাতে। জুলেখারে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে; আসুন, আমরা আরেকজনের একটু খোঁজ নিই। একটু নিবিড় খোঁজ।

চলুন তো দেখি ইসুফ মিয়ার কী হলো!

আমাদের জানা আছে; ইমাম হুজুরে যখন বাইদ্যার বহরে তল্লাশি দিতে যায়, তখন তার লগে যায় ইসুফ মিয়ায়। কিন্তু জানা নাই, জুলেখারে ফিরত পাওনের সকল আশা-ভরসা শেষ হওনের পরে কী করে সেয়! ইমাম হুজুরের লগে লগে বেজার পাওয়ে গেরামে ফিরত আহে? আইয়া, তবদা-খাওয়া হাত-পাও ধুইয়া; কোনোমতে পিঁড়িখান টান দিয়া বইস্যা, ফিসফিসা গলায় মায়েরে কয়; ভাত দেও?  না, না! এমত কোনোকিছুই ঘটে না। ঘটে অন্য কিছু।

কি ঘটে? ঘটে এই যে,  হুজুরে যখন গাঙপাড়ের লোকসকলের লগে কথা কইতে থাকে, তখন ইসুফ মিয়ায় গিয়া গাঙে নামে। একদিগে তার কানে আসতে থাকে যে, এইবার মূল গাঙেও বাইদ্যার বহরের আওয়া-যাওয়ার ঘটনা ঘটে নাই! আরেকদিগে, তার চক্ষু দেখতে থাকে যে, শীতলক্ষ্যার পানি কেমুন কালার কালা! কেমুন টলটলার টলটলা! সেই পানিতে এখন বেদিশা ঢেউয়ের ছল্লাৎ ছল্লাৎ নাই; আছে কেবল ধীর, তিরতিরা স্রোত।

সেই স্রোত কেবল যায় যায় যায়! থামাথামি য্যান বোঝেই না! যায় যায় যায়! অই যাওয়া দেখতে দেখতে আঁতকা ইসুফের কেমুন জানি তিয়াস লাগে। একবার মোনে অয় য্যান এইটা তার পানি খাওনের তিয়াস; একবার মোনে অয় য্যান –না, পানি খাওনের তিয়াস না। এইটা য্যান নাকে-মোখে, ঘাড়ে-গর্দানে পানির ঝাপটা মারোনের তিয়াস।

তাইলে, হুজুরে কথা কইতাছে, কউক। সেয় তবে এট্টু খালি নিজের তিয়াসখান পুরাইয়া আহুক! ইসুফ মিয়ায় বেচইন কদমে গিয়া নামে কিনারের পানিতে। প্রথমে থাকে হাঁটু পানিতে। আঁজলা ভইরা পানি নিয়া সেয় দফায় দফায় ঘাড়ে-মাথায় ঝাপটা মারে। এট্টু য্যান শীতল লাগে মাথাটা!

কিন্তু তিয়াস য্যান লগে লগেই আরো দমদমাইয়া বাড়ে। ইসুফের শইলটায় য্যান তারে কইতে থাকে; এই হাঁটুপানিতে খাড়া দিয়া, আর এমুন কয় ঝাপোট পানি দিয়াই ভিতরের তিয়াসখান সামলানি দেওন যাইব না। আরো বেশি লাগবো তার। আরো বহুত বেশি।

ভালামতোন ডুবগোছল করলে,বা চুবানি খাইলেই এই তিয়াস-জ্বালাটা যাইবো  বইল্লা মোনে অইতে থাকে ইসুফের। সেয় তহন পিন্ধনের তবন,আর গেঞ্জি-গামছা পিন্ধনে নিয়াই নিজেরে ঠেইল্লা দেয় শীতলক্ষ্যার পানির তলে।

জুলেখার তত্ত্ব-তালাশি নিয়া অস্থির হইয়া আছিলো ঠিকই হুজুরে, কিন্তুক একখান চোখ তার ইসুফ মিয়ার  দিকেও দেওয়া আছিলো। সেয় দেখে পোলাটায় গিয়া পানতে নামতাছে। অখন, তুমি গিয়া হাঁটু-পানিতে খাড়া দেও, কোনো আপত্তি নাই। এইনে খাড়া দিয়া যত মোন চায়, তত পানির ঝাপটানি দেও শইল্লে; দোষের কিছু নাই। তয়, তরতরাইয়া তুমি গাঙের মাইঝখানের দিগে যাওয়া ধরবা, আর তোমার ময়-মুরুব্বিয়ে সেইটা চাইয়া চাইয়া দেখব!

ভালার দিনে, যহন তোমার দিল ঠায়-ঠাণ্ডা; তহন এইটা করো- কেউই ডরাইবো না তোমারে নিয়া। তুমি অখন,এমুন সোমে একলা একলা গাঙে নামছো,যহন কিনা তোমার অন্তরের উপরে তোমার কোনো জোর নাই; তহন  নি গাঙের পানির লগে তোমার দুস্তি করোনরে ভালা নজরে নেওনের উফায় আছে! নাই। এই দুস্তির তলে কী আছে ইমাম হুজুরে না জানে নি! সেয় নিজে এককালে নিজের ঠুনঠুনা, বুইড়া হাড্ডির  এই শইলটারে নেয় নাই এমুন একদিন পানির কাছে! নিছিলো তো!

ইসুফে একদিগে গাঙের পানিতে ভুম ডুব দেয়,হুজুরে জুলেখার তল্লাশ নিয়া কথা বন্ধ কইরা লৌড় দিয়া আহে কিনারে। হায় হায়! ছেড়ায় দি ওপরে ওঠে না! হুজুরে কী পানিত নামবো অহন!

পোলাটায় মাথা তোলে। হুজুরে ডাকে, ‘বাজী! আইয়া পড়ো।’ সেই কথা ইসুফের কানে ঢোকে বইল্লা মোনে অয় না। সেয় যেমনকার ডুব তেমনই দিতে থাকে। তারপর আঁতকা একবার মাথাখান তুইল্লা সেয় ঝটকা দিয়া পড়ে যায় পানিতে। তারপর চিৎ হইয়া ভাসতে ভাসতে যাইতে থাকে সোরোতের লগে লগে।

হুজুরে দিশামিশা হারাইয়া পানিতে নামতে ছোটে। পরের পুত নিয়া আসছে লগে; এইটা অখন  তার আমানত। আমানতের খেয়ানত করবো নাকি সেয়! জীবন থাকতে না! সুভালাভালি মায়ের ধন মায়ের কোলে ফিরত নেওন লাগবো তারে। হুজুরে বেদিশা হইয়া গাঙে নামোনের আগেই তার লগে কথা কইতে আসা একজোনে তরাতরি লাফ দেয় পানিতে। কিনারে খাড়া দিয়া অন্যরা কওয়া-বুলি করতে থাকে যে, হুজুরের লগে আওয়া পোলাটার মিরকি বেমার আছে।

কে না জানে,মিরকি বেমারের মাইনষের যখন–তখন হুঁশ যায় গা। যেইনে-সেইনে বেহুঁশ হয় তারা। সেই কারণে তাগো কোনোসোম একলা কোনো দিগে যাইতে দেওন নাই। এই যে অখন অই ছেড়ায় পানিতে নামছে, আর আঁতকা বেহুঁশ হইছে; হুজুরে খেয়াল না রাখলে তো আউজকাই যাইতো গা হেইপারে।

‘হুজুর! আপনে জানতেননি, এই পোলার যে মিরকি?’ নানাজোনে জিগায়। ভেদের কথা ভাঙ্গোনের কোনো খায়েশ অয় না হুজুরের ভিতরে। সেয় লোকেরে কয়, ‘কিয়ের মিরকি? না, বাবাসগল! মিরকি না। কেমুন খাটাইস্যা রইদখান আউজকা মাতার উপরে! দেখতাছেন তো! এমুন খাড়া রইদ দিয়া হাইট্টা আইছে পোলাটায়। সেই কারণে তালাগাড়া খাইছে। মিরকি না, মিরকি না!’

ইমাম হুজুরে গাঙপাড়ের কড়ুই গাছের তলে কতখোন শোয়ান দিয়া রাখে ইসুফ মিয়ারে। এট্টু বেইল নামুক, শেষে মেলা দিব নে দুইজোনে। আসমানের রইদ অখন আরো খনখনা। পোলাটার কাতর শইল। এই রইদ মাথায় নিয়া ফিরতি রাস্তা ধরোন বহুত অন্যায্যি কাম হইবো।

আধা-মাধা গোঙানি দিয়া ইসুফে কয়, অক্ষণই মেলা দিবো সেয়। এইখানের খোঁজ-তল্লাশির কর্ম তো সাঙ্গ হইছে। তাইলে হুজুরে চলুক এইবার। ‘তর না বেদিশা গতিক, বাজান? আট্টু জিরানি দে।’ হুজুরে তারে বুঝায়। গাঙ-পাড় মজিদের হুজুরে মিন্নতি করে যে, কতখোন নাইলে মজিদের ভিতরে কাৎ হয়ে জিরানি দেউক পোলায়। লগে হুজুরেও জিরাক। হেষে, বেইল পড়লে মেলা দিব নে তারা।

কিন্তু ইসুফ মিয়ায় কোনো কথাই কানে নেয় না। আছড়ানি–পাছড়ানি দিয়া সেয় কোনো মতে উইট্টা খাড়ায়,তারপর তুকতে তুকতে হাঁটা ধরে। হুজুরে নি তখন অর লগে লগে কদম না বাড়াইয়া পারে! হুজুরেও আগানি ধরে। ‘ক্যান এমনে হাঁটা দিলি বাজান? এট্টু জিরাইলে হইতো না?’ কাতর গলায় হুজুরে জিগায়। কোনো মতে হেঁচড়ানি দিয়া হাঁটতে হাঁটতে ইসুফে কয়, ‘না, হুজুর। আমি পারমু। লন, যাই গা!’

মুখে ইসুফ মিয়ায় যাই কউক না ক্যান, মোনে মোনে কয় অন্য কথা। এই যে ইমাম হুজুরে! এমুন বুড়া মানুষটায় কত আর কষ্ট নিব! তার নাওন-খাওন, বিরাম-আরাম আছে না? ইসুফে এইনে এমনে পড়া দিয়া থাকলে, হুজুরেও পড়া দিয়া থাকব। কিছুতেই সেয় একলা মেলা দিব না গেরামের দিগে। তহন কই থাকব হুজুরের অজু-গোছল, কই থাকব খাওয়া! তারে নি এই কষ্ট দিতে পারে ইসুফে!

শুকনা কাঠ কাঠ পথে টপর টপর পানি ঝরাইয়া ইসুফে হুজুরের পিছে পিছে চলতে থাকে। এইবার হুজুরে আর তারে লগে হাঁটোনের জন্য ডাক পারে না। আহুক উয়ে আস্তে-মাস্তে! হুজুরে আগে আগে যায় যায়, আর ঘাড় ফিরানি দিয়া দিয়া দেখে; আইতে পারতাছে পোলাটায়! পারতাছে।

ইসুফের ভিজা তবন, ভিজা গেঞ্জি গামছা তেনে পানি পড়তে থাকে আউলা-মাউলা, ফোটায় ফোটায়। ভালা হইছে যে, উয়ে শইলটা ভিজাইয়া লইছে! এই রইদ দিয়া আরামে যাইতে পারব গা! কিন্তু মোখ গতরের হাল যেমুনই দেখাক, অর চোখ দুইটা দেখায় টক-টক্কা লাল!

সেই লাল দেইক্ষা হুজুরের ভিতরে কাঁপনি দেয়। আহারে! অন্তর যে অর পুইড়া কালি হইয়া যাইতাছে! এই আগুন এহন নিভানি কেমনে! হুজুরে ভিতরে ভিতরে সাব্যস্ত করে, ইসুফ মিয়ার মাও-বাপের কাছে পুতের এই অন্তর-জ্বালার কথা ভাইঙ্গা কওয়া দরকার। নাইলে কী তেনে কী হইবো কওয়া যায় না। সেয় নিয়ত করে যে, গেরামে গিয়া আজকাই ভাও মতোন ইসুফ মিয়ার পরানের ভেদের কথাখান ভাইঙ্গা কইব তার বাপ-মায়ের কাছে।

কিন্তু অই বিষয়খান ইসুফ মিয়ার বাপ-মায়ের কাছে ভাঙ্গার কোনোরকম ফাঁক পায় না ইমাম হুজুরে। পোলাটারে বাড়িতে থুইয়া সেয় নিজের গাও-গোছলখান খালি শেষ করছে; তখন হুমদাম খবর আসে যে, জ্বরে বোলে ইসুফ মিয়ার গতর ফাইট্টা যাইতাছে গা! দুগা ভাতও মুখে তোলতে পারে নাই পোলাটায়, জ্বরে বেঘোর হইয়া পড়ছে।

কোনোমতে তরাতরি নিজের মুখে কোনোরকম আহার দিয়া হুজুরে যায় ইসুফ মিয়ারে দেখতে। সন্ধ্যাকালে কুপি ধরানো আছে ঘরে ঠিকই, কিন্তু ঘর-জোড়া টিপটিপা আন্ধার। ইসুফ মিয়ার হাতখান ধরতে গিয়া সেই আবছা আন্ধারেই হুজুরে দেখে, অর হাতে য্যান কেমুন গোটা দেখা যায়! বড়ো বড়ো ঠোসা পড়ছে য্যান লাগে! নাকি আন্ধারে সেয় কী দেখতে কী দেখতাছে!

রুগীর সামনে কুপি আইন্না ধরে একজোনে। সেই আলোতে সগলে দেখে, হাছাই গোটা ওঠছে! এই বড়ো বড়ো গোটা! গুটি বসন্তের গোটা। মা শীতলার দয়া আইয়া পড়ছে দেওভোগে।

 (চলবে)

সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১৫)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১৪)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন  (কিস্তি ১৩)​
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১২)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১১)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ১০)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ৯)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (কিস্তি ৮)​
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (সপ্তম কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (ষষ্ঠ কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (পঞ্চম কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (চতুর্থ কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (তৃতীয় কিস্তি)​
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (দ্বিতীয় কিস্তি)
সাক্ষী কেবল চৈত্র মাসের দিন (প্রথম কিস্তি)

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. শুধু অভিনেতা নন, পেশাদার পাইলটও ছিলেন মুকুল দেব
  2. বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ঘরবন্দি ছিলেন মুকুল দেব
  3. পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ২৫ কোটির মামলা ঠুকলেন অক্ষয় কুমার
  4. টিজারেই ঝড় তুলল ‘ওয়ার ২’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা
  5. বিয়ে নয়, এবার ‘লিভ ইন’ করতে চান সামান্থা!
  6. হিরানি-আমির জুটি এবার বায়োপিকে
সর্বাধিক পঠিত

শুধু অভিনেতা নন, পেশাদার পাইলটও ছিলেন মুকুল দেব

বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ঘরবন্দি ছিলেন মুকুল দেব

পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ২৫ কোটির মামলা ঠুকলেন অক্ষয় কুমার

টিজারেই ঝড় তুলল ‘ওয়ার ২’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা

বিয়ে নয়, এবার ‘লিভ ইন’ করতে চান সামান্থা!

ভিডিও
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮১
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮১
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩৮
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩৮
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৬
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৬
ফাউল জামাই : পর্ব ৯৪
ফাউল জামাই : পর্ব ৯৪
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, পর্ব : ১২
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫০
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫০
নাটক : প্রেম আমার
নাটক : প্রেম আমার
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৪

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x