বাল্যবিবাহ বিরোধী আলোকচিত্র প্রদর্শনী
কানাডিয়ান হাইকমিশনের আয়োজনে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত ফটোসাংবাদিক স্টেফানি সিনক্লেয়ারের তোলা ২৬টি স্থিরচিত্র নিয়ে ‘টু ইয়ং টু ওয়েড’ শিরোনামে শুরু হয়েছে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী। গত ১৭ এপ্রিল যৌথভাবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাঘামে এবং বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য মাহজেবিন খালেদ।
বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মূল প্রতিপাদ্য। বাল্যবিবাহ, অল্পবয়সে জোরপূর্বক বিয়ে এমন এক সুদূরপ্রসারী ক্ষতিকর চর্চা, যা বিশ্বব্যাপী কিশোর ও তরুণীদের জীবন এবং ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ, অল্পবয়সে বিয়ের হার ক্রমে কমছে; কিন্তু বাল্যবিবাহের এই হার এখনো পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং ১৫ বছরের কম বয়সী কিশোরীদের বিয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিদ্যমান হার পৃথিবীর সর্বোচ্চ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাগামে বলেন, এককথায় বলতে গেলে বাল্যবিবাহ, অল্পবয়সে ও জোরপূর্বক কিশোরীদের জীবন ও ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। এটি তাঁদের মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং এর ফলে তাঁদের নিজেদের, তাঁদের কমিউনিটি ও তাঁদের দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। এই ক্ষতিকর চর্চা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস আলোকচিত্রীর। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত কন্যাশিশুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশে ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের কমবয়সী এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সব বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারে কানাডা আনন্দিত ও অত্যন্ত অনুপ্রাণিত।
স্টেফানি সিনক্লেয়ার বলেন, ‘আমরা সকলে সম্মিলিতভাবে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে পারি। তবে এ জন্য প্রয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ও অব্যাহত বিনিয়োগ। আমি আশা করি, এই আলোকচিত্রগুলোর মধ্যে বিধৃত গল্পগুলোর মাধ্যমে কেন এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এত জরুরি, সেটা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হবে।’
প্রদর্শনীটি ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা, শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।