Skip to main content
NTV Online

শিল্প ও সাহিত্য

শিল্প ও সাহিত্য
  • অ ফ A
  • গদ্য
  • কবিতা
  • সাক্ষাৎকার
  • গ্রন্থ আলোচনা
  • বইমেলা
  • চিত্রকলা
  • শিল্পসাহিত্যের খবর
  • পুরস্কার ও অনুষ্ঠান
  • চলচ্চিত্র
  • আলোকচিত্র
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • শিল্প ও সাহিত্য
ছবি

বর্ণিল সাজে সেমন্তী সৌমি

লাল টুকটুকে মিম

একান্তে তাহসান-রোজা

মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর ৫ খাবার

মেট গালা ফ্যাশনে দ্যুতি ছড়ালেন কিয়ারা

গ্রীষ্মের ফুলে ভিন্নরূপে রাজধানীর প্রকৃতি

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণে প্রধান উপদেষ্টা

বিমান বাহিনীর অনুশীলন পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার

পুলিশ সপ্তাহ শুরু

স্টাইলিশ মিম

ভিডিও
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৩৯
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
মিউজিক নাইট : পর্ব ১৯৫
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ০৮
এই সময় : পর্ব ৩৮২০
এই সময় : পর্ব ৩৮২০
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৮
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৮
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫০
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫০
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৬
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৬
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
টেলিফিল্ম : বীথি পরিবহন
টেলিফিল্ম : বীথি পরিবহন
মুহাম্মদ মহিউদ্দিন
১৪:৩৫, ০৮ নভেম্বর ২০১৬
মুহাম্মদ মহিউদ্দিন
১৪:৩৫, ০৮ নভেম্বর ২০১৬
আপডেট: ১৪:৩৫, ০৮ নভেম্বর ২০১৬
আরও খবর
কাজী নজরুল ইসলাম : দ্রোহের কবি, সম্প্রীতির কবি
আন্দোলন-সংগ্রাম, রাজনীতিতে নজরুল-সাহিত্যের প্রভাব
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এশিয়া অঞ্চলে বিজয়ী ফারিয়া বাশার
স্বাগত ১৪৩২: বাংলা নববর্ষ বাঙালির উৎসব
ঢাকার ঈদ মিছিলে মোগল ঐতিহ্য

উপন্যাস পর্ব ৫

বাবা আছে বাবা নেই

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন
১৪:৩৫, ০৮ নভেম্বর ২০১৬
মুহাম্মদ মহিউদ্দিন
১৪:৩৫, ০৮ নভেম্বর ২০১৬
আপডেট: ১৪:৩৫, ০৮ নভেম্বর ২০১৬

রাত গভীর হচ্ছে। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। শিয়ালের হক্কা হুয়া। গেছো বানরের পাতা ঝাপটানি। আমি প্রহর গুনছি। ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছে। ধীরে ধীরে মায়ের হাতটা সরিয়ে উঠে বসলাম। ঘরের উত্তর কোনায় আলমারির পাশে কীটনাশকের বোতল আছে। ক্ষেতে ছিটানোর জন্যই ওসব আনা হয়েছে। একসঙ্গে পুরো বোতলের কীটনাশক খেয়ে ফেললেই...। থামলাম। শিমু অন্যপাশে ঘুমোচ্ছে। আবছা আলোতে শিমুর চেহারাটা আদুরে লাগছে। মায়ের নড়াচড়া নেই।

আলতো পায়ে আলমারির দিকে যাচ্ছি। পেছন ফিরে দেখছি। যেখানটায় বোতলটা ছিল, সেখানে হাত দিলাম। নেই। বোতলটা গেল কোথায়? কোনায় এদিক ওদিক খুঁজছি। আমায়ের ভেতরকার উত্তেজনাটা ক্রমশ বাড়ছে। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। অস্থির লাগছে। এলোপাতাড়ি খুঁজছি।

বোতলটা ওখানে নেই। ধরা গলায় মা বলল।

হঠাৎ চমকে উঠলাম। পাথর হয়ে মায়ের দিকে ফিরলাম। মা তাকিয়ে আছে। তাহলে মা এতক্ষণ ঘুমোইনি। আমায়ের কাণ্ডকারখানা দেখছে।
আয়। এদিকে আয়। মা ডাকল।
সটান দাঁড়িয়ে আছি। মা শোয়া থেকে উঠে বসল।
কাছে আয়। মা বলল।
মাথা নিচু করে মায়ের কাছে গেলাম। মা আমাকে বুকে জড়িয়ে নিল।
রাবু।
হু। মা।
আত্মহত্যা করা মানে হেরে যাওয়া। তুই হেরে যাবি সেটা আমি কখনো চাই না। তোকে আমি অনেক বড় দেখতে চাই। অনেক বড়। এবং তুই অনেক বড় হবি। এটা আমায়ের বিশ্বাস।
মা।
বল।

একজন রাজাকারের ঘরে থেকে আমি কীভাবে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখব? তার কাছে তো মনুষ্যত্ব নেই।
অনেক এতিম ছেলেমেয়ে আছে যাদের কারো মা নেই। কারো বাবা নেই। আবার কারো মা-বাবা উভয়ই নেই।
হ্যাঁ মা। তা তো আছেই।
ধর তোরও বাবা নেই।

হ্যাঁ মা। ভালো কথা বলেছ। ওই নরপিশাচটাকে বাবা বলে পরিচয় দেওয়ার চেয়ে বাবা নেই বলাটাই ভালো।
আর নিয়তির বিরুদ্ধে কখনো যুদ্ধ করিস না। নিয়তির বিপরীতে গেলে প্রকৃতিই প্রতিশোধ নেবে। মনে রাখিস প্রকৃতির নিজেরই একটা গতি আছে। চরিত্র আছে। বলার কথা আছে। ভাষা আছে। যা মানুষ সহজে বুঝতে পারে না।

তাহলে মা এ নরপিশাচের হাত থেকে কীভাবে রেহাই পাব।
পাবি। প্রকৃতিই তোর জন্য সে ব্যবস্থা করবে।
মা তোমায়ের এ কঠিন কঠিন কথাগুলো আমায়ের ভালো লাগছে না। তাহলে কি ওনার কথামতো হারামজাদা বাকিউলকেই আমায়ের বিয়ে করতে হবে।
বাধ্য হলে তাই করতে হবে। তারপরও তোকে বেঁচে থাকতে হবে।
তাহলে তো মা আমি হেরেই গেলাম।
না। এটা তোর হার নয়। তোর বিজয় প্রকৃতিই নির্ধারণ করে রেখেছে।
তুমিও কি বলছো আমি বাকিউলকে বিয়ে করি?
না। আমি তা বলছি না।
তাহলে?
আমি চেষ্টা করব বাকিউলের প্রস্তাবটা যেন উনি না করে দেন। তারপরও তুই আমাকে কথা দে কোনোদিন আত্মহত্যার পথ বেছে নিবি না।
হ্যাঁ মা। কথা দিলাম। তবে আমায়ের মনে হয় তোমায়ের চেষ্টায় কোনো ফল হবে না।
মা আর কথা বাড়ায়নি। আমাকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে।
শিমু নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। সন্তানের জন্য মায়ের বুক পৃথিবীতেই স্বর্গ। বাঁধ ভেঙে আমায়ের দুই চোখে ঘুম আসে। মা আমায়ের মাথায় হাত বোলায়।

আমায়ের মায়ের সঙ্গে মৌলানা শরাফত খানের বেশ কয়েকবার বাকবিতণ্ডা হয়েছে। আমায়ের বিয়ে নিয়ে। মায়ের চেষ্টায় কোনো কাজ হয়নি। মৌলানা শরাফত খান আমাকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসে। আমি আসতে চাইনি। মাও বাধা দিয়েছিল। মা বুঝতে পেরেছিল নিশ্চয় মৌলানা সাহেবের কোনো কু-মতলব আছে।

বাঁধায় কোনো কাজ হয়নি। তিনি আমাকে জোর করেই নিয়ে এলেন। তাঁর এক বন্ধুর বাসায় তুললেন। বাসাটা ছিমছাম। ছোটখাটো হলেও সুন্দর। মৌলানা সাহেবের বন্ধুকে আমি কাকা বলেই ডাকছি। তিনি আরেক মৌলানা। নিশ্চয় শহরের কোনো মাদ্রাসায় পড়ান। মসজিদের ইমাম। কাকার এক ছেলে। এক মেয়ে। মেয়েটি ছোট। আমাদের শিমুর সঙ্গেই পড়ে। আর ছেলেটি নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেয়াড়া ধরনের মনে হলো। গায়ে পড়ে কথা বলতে চায়। কাকিমা ভালো। বেশ খাতির-যত্ন করছে আমাকে।

মেয়েটির নাম রিমা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওর সঙ্গে আমায়ের বেশ ভাব হয়ে গেছে। কথা বলছি। টেলিভিশন দেখছি। কাকিমা এসে মাঝে মাঝে এটা-সেটা দিয়ে যাচ্ছে। বাড়ির অন্যদের খবর জিজ্ঞেস করছে।

দুই মৌলানা বেরিয়েছেন সেই বিকেলে। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত ৯টা। এখনো তাঁদের ফেরার নাম-গন্ধ নেই। আমাকে ডাক্তার দেখানোর কথা কি তিনি ভুলে গেছেন? নাকি মায়ের কথাই ঠিক। ওটা তাঁর চালাকি। রাত সাড়ে ৯টা পেরিয়ে ১০টা ছুঁই ছুঁই। তখন তাঁরা এলেন। সঙ্গে বেশ কেনাকাটা। বাজার সদাই। কিছুটা অবাক হলেও ভাবলাম আমরা এসেছি দেখে কাকা আয়োজন করছেন।

বড়দের সঙ্গে আমায়ের তেমন কথা হলো না। রাতে আমি আর রিমা এক খাটে ঘুমালাম। ঘুম কি আর সহজে আসে? কত কথা যে দুজনের পেটে জমা ছিল। মনে হলো আমায়ের অনেক দিনের চেনা।

সকাল থেকেই রিমাদের বাসায় রান্নার বেশ আয়োজন চলছে। ব্যাপারটা আমায়ের কাছে কেমন খটকা লাগল। শুধু আমাদের জন্য তো এত বেশি আয়োজনের প্রয়োজন নেই।

তাহলে কি অন্য কিছু?
রিমাকে জিজ্ঞেস করলাম। সেও সঠিক কিছু বলতে পারল না। দুই মৌলানা বেশ ছোটাছুটি করছেন। এই বাইরে যাচ্ছেন তো এই ভেতরে আসছেন। কাকিমাকে বারবার জিজ্ঞেস করছেন আর কিছু লাগবে কি না। রিমাদের বাসায় একজন কাজের বুয়া আছেন। মাঝ বয়সী, তিনিও খুব ব্যস্ত। শত ব্যস্ততার মাঝেও কাজের বুয়াটি আমাকে দেখছে। সুযোগ পেলেই একবার আমাকে দৃষ্টি বুলিয়ে যায়। এই চাওয়ার মানেটা রহস্যজনক এবং সন্দেহজনক। তারপরও আমি চুপ করে থাকি।
হরেক পদের রান্না হলেও দুপুরে তেমন ভালো খাওয়াদাওয়া হয়নি। তাহলে কি ওসব রাতের জন্য? হয়তো তাই।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হলো। রিমায়ের সঙ্গে লুডু খেলছি। কাকিমা কিছু নতুন কাপড় এনে বিছানায় রাখলেন। একটা লাল শাড়িও দেখতে পাচ্ছি।
মা ওসব কার জন্য। রিমা বলল।
তোমায়ের আপুর। কাকিমা বলে চলে যেতে গিয়ে থামল। রাবেয়া। কাকিমা ডাকল।
জ্বি কাকিমা।
একটু এদিকে এসো তো।
আমি কাকিমায়ের ঘরে গেলাম।
যাও। অজু করে এসো।
কেন? কাকিমা।
তুমি জানো না কিছু? বিস্ময়ে চোখ বড় করে বলল কাকিমা।
কই। না তো।
আজ যে তোমায়ের বিয়ে। কাকিমা সে অবাক চোখেই বলল। আমায়ের আর কিছুই বোঝার বাকি রইল না। মৌলানা শরাফত খান কেন এতটা দয়াপরবশ হয়ে আমাকে ডাক্তার দেখাতে এনেছেন তা আমায়ের জানা হয়ে গেল।
আমায়ের জন্মদাতা রাজাকারটা যে এমন একটা কিছু করবে তা মায়ের আগেই জানা হয়ে গিয়েছিল। এখন কী করি। পালিয়ে যাব! পালানোর যে পথ নেই।
রাবেয়া চুপ করে আছো যে? বলল কাকিমা।
কাকিমা আমি তো অসুস্থ।
অসুস্থ হলে অজু করা যায় না? যাও। অজু করে এসো।
ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ওরা চলে আসবে।
কাকিমা আমায়ের পিরিয়ড চলছে। বললাম আমি।
জিবে কামড় খেল কাকিমা।
তাহলে? সত্যি বলছো?
হ্যাঁ কাকিমা সত্যি বলছি।
কাকিমা ভেতর ঘরে চলে যায়। আমি রিমায়ের সামনে ধপাস করে বসে পড়ি। রিমা কিছু বুঝতে পারে না। ও আমাকে লুডু খেলতে বলে। আমায়ের খেলতে ইচ্ছে করে না। দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছি। কী হয়েছে আপু? রিমা জিজ্ঞেস করল।
কিছু না।
মা তোমাকে বকেছে?
না।
তাহলে?
রিমা এখন তুমি পড়তে বস গে। আমি কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি।
রিমা চলে যাচ্ছে।
রিমা। ডাকলাম আমি।
জ্বি আপু।
বাতিটা নিভিয়ে যাও।
রিমা বাতি নিভিয়ে চলে গেল। বালিশে মুখ বুজে শুলাম। নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। মায়ের করুণ মুখটা মনে পড়ছে। বুকফাটা কান্না পাচ্ছে। ইচ্ছে করছে এখানেই গলায় ফাঁস দিই। মায়ের বারণ মনে পড়ল।

ধৈর্য ধর রাবু। তোকে অনেক বড় হতে হবে। সাহস রাখিস মনে।
মায়ের কথা মনে করে ফুঁফিয়ে কাঁদলাম। এভাবে ইচ্ছের বিরুদ্ধে কি সব মেনে নিতে হবে? বলির পাঁঠা হয়েই কি থাকতে হবে আজীবন?
ভেজানো দরজাটা খুলে কে যেন ঢুকল।
রাবেয়া। তিনি বাতি জ্বালালেন।
যাও। অজু করে শাড়িটা পরে নাও। তিনি বললেন।
আমি অসুস্থ।
অসুস্থ হলে অজু করা যায় না?
এখন অজু, গোসল, নামাজ কিছুই হবে না। আমার পিরিয়ড চলছে, কথাটা বলেই চুপসে যাই। মুখ ফসকে কথাটা বলে ফেললাম। মৌলানা শরাফত খান কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন।
যাও। অজু করে শাড়িটা পরে নাও। মৌলানা বললেন।
হাত-মুখ ধুলে তো আর অজু হবে না। আমার শরীর তো পবিত্র নেই। বললাম আমি।
যা বলছি তাই করো। কথাটা বলেই মৌলানা শরাফত খান বেরিয়ে গেছেন।
আমি ঠায় বসে রইলাম। ক্ষণিক পর দরজার ফাঁকে উঁকি দিল কাকিমা। বলল, জলদি কর।
ধর্মের ফতোয়া মৌলানারাই দেন। আর তাঁরাই নাকি ফতোয়া ভাঙেন। শুনেছি এক শ্রেণির মৌলানা নাকি প্রথমে নরকে যাবেন।
কী আর করা। মৌলানা শরাফত খানের কথামতো অজু করে এলাম। অজু তো নয়, হাতমুখ ধোয়া। গায়ে শাড়িটা জড়িয়ে নিলাম।
পাশের ঘরে মানুষের বেশ সাড়াশব্দ শুনতে পাচ্ছি। অনেকটা সোরগোল। মনে হয় বরপক্ষ এসে পড়েছে। আমি জানি না বরকে। বাকিউল হতে পারে। নাও হতে পারে। কাকিমা এলো। আমাকে জায়নামাজে বসিয়ে ঘোমটা পরিয়ে দিল। অপবিত্র অবস্থায় জায়নামাজে বসে আছি।
মাকে খুব মনে পড়ছে। আমার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। মা জানে না। যদিও এ বিয়ে কোনোদিন শুদ্ধ হবে না। মা জানলে এবার যুদ্ধ করেই দেখত। নীরবে চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে।
পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা কতটা অসহায়। যত ভাবছি, তত মায়ের করুণ-কোমল মুখটা ভেসে উঠছে।
রিমার বাবা সঙ্গে দুজন লোক নিয়ে এ ঘরে ঢুকল। আমি ঘোমটার ফাঁকে খেয়াল করলাম। দুজনের একজন কাজী সাহেব, তাঁরা আমায়ের কাছে এসে দাঁড়ালেন। কাজী সাহেব আমার কাছাকাছি হাঁটু গেড়ে বসলেন। বাঁ হাতে কাগজ। ডান হাতে কলম। কাগজ দেখেই কাজী সাহেব পড়তে লাগলেন দক্ষিণ কলমসাই গ্রামের মহাজন শফিউলের জ্যেষ্ঠপুত্র বাকিউলের সহিত মৌলানা শরাফত খানের জ্যেষ্ঠ কন্যা রাবেয়া বেগমের বিবাহ দুই লক্ষ টাকা দেনমোহরে ধার্য হলো। মা রাবেয়া তুমি রাজি আছো। চুপ করে থাকলাম।
রাজি থাকলে কবুল বলো।
তারপরও চুপ করে রইলাম। বাকিউলের নাম শুনে আমার ভেতরটা আঁতকে উঠল। মনে পড়ল বাদলা দিনে রমাদের বাড়ি থেকে ফেরার পথে বাকিউলের পিছু নেওয়ার কথা।

কবুল বলো মা। রিমার বাবা বলল। আমার মুখ দিয়ে কোনো সাড়াশব্দ বেরুল না। বুকের ভেতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে পড়ল। জিব্বাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। ঢোক গিলতেই যেন গলায় আটকে যাচ্ছে।
মেয়ে মনে হয় লজ্জা পাচ্ছে। আপনি দস্তখতটা নিয়ে নিন। কাজী সাহেব বললেন রিমার বাবাকে।
রিমার বাবা আমার গা ঘেঁষে বসল। কাজীর হাত থেকে কলম নিয়ে আমার হাতে দিল। কলমটা আমার হাত থেকে পড়ে গেল।
তুমি দস্তখত করবে না? কিছুটা রাগত স্বরে বললেন রিমার বাবা।
দরজা খুলে কে যেন ঢুকল। তিনি আর কেউ নন। মৌলানা শরাফত খান। ওখানে দাঁড়িয়েই তিনি ধমক দিলেন।
দস্তখত কর।
কেঁপে উঠলাম। রিমার বাবা আমার হাতে কলম ধরিয়ে হাত চেপে ধরলেন। কাগজের ওপর লেখালেন আমার নাম। ছোটবেলায় মা যেমন আমার হাতে কলম ধরিয়ে লেখা শিখিয়েছিলেন অ, আ, ক, খ। তারপর তাঁরা চলে গেলেন। কান্নায় মুষড়ে পড়লাম। জায়নামাজে কাকিমা এলো। আমাকে উঠিয়ে শান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করল।
পাশের ঘরে খাওয়াদাওয়া চলছে। চামচ বাটির ঝনঝনানি শুনতে পাচ্ছি। কাঁটা চামচের খোঁচা মিষ্টি সন্দেশের গায়ে না পড়ে যেন আমার বুকেই বিঁধছে।
রিমা এলো। হাতে প্লেটভর্তি মিষ্টি সন্দেশ।
খাও আপু। রিমা বলল।
কিছুই বললাম না। রিমাকে দেখছি। ওকে অন্যরকম লাগছে। আমি অপলক তাকিয়ে আছি দেখে অবাক হলো রিমা।
আপু তোমার কি খুব মন খারাপ? রিমা বলল।
তুমি মিষ্টি খাও। বললাম আমি।
কাকিমা পোলাওয়ের প্লেট নিয়ে ঢুকল। বেচারির বেশ ধকল গেছে আজ। রান্নাঘর থেকে বেরুতেই পারেনি।
মিষ্টি খাওনি রাবেয়া? কাকিমা বলল।
খাচ্ছে না মা। রিমা জবাব দিল।
দেখো মেয়ে না খেলে নিজেই কষ্ট পাবে। যাও। হাত ধুয়ে এসে পোলাওটা খেয়ে নাও। রিমা।
জ্বি আম্মু।
ইচ্ছে হলে তুমিও আপুর সঙ্গে খেতে পারো।
হ্যাঁ আম্মু। রিমা গিয়ে একটা প্লেট নিয়ে এলো।
আপু নাও।
রিমা তুমি খাও আমি দেখি।

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. অক্ষয়ের মামলা, সুদসহ টাকা ফেরত দিয়ে ‘হেরা ফেরি ৩’ ছড়ালেন পরেশ রাওয়াল
  2. শুধু অভিনেতা নন, পেশাদার পাইলটও ছিলেন মুকুল দেব
  3. বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ঘরবন্দি ছিলেন মুকুল দেব
  4. পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ২৫ কোটির মামলা ঠুকলেন অক্ষয় কুমার
  5. টিজারেই ঝড় তুলল ‘ওয়ার ২’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা
  6. বিয়ে নয়, এবার ‘লিভ ইন’ করতে চান সামান্থা!
সর্বাধিক পঠিত

অক্ষয়ের মামলা, সুদসহ টাকা ফেরত দিয়ে ‘হেরা ফেরি ৩’ ছড়ালেন পরেশ রাওয়াল

শুধু অভিনেতা নন, পেশাদার পাইলটও ছিলেন মুকুল দেব

বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ঘরবন্দি ছিলেন মুকুল দেব

পরেশ রাওয়ালের বিরুদ্ধে ২৫ কোটির মামলা ঠুকলেন অক্ষয় কুমার

টিজারেই ঝড় তুলল ‘ওয়ার ২’, মুক্তির তারিখ ঘোষণা

ভিডিও
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ২৯৯
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫২৫
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫২৫
ফাউল জামাই : পর্ব ৯৫
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৩
গানের বাজার, পর্ব ২৩৩
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
মহিলাঙ্গন : পর্ব ৩৫৯
কনকা সেরা পরিবার, সিজন ০৩, পর্ব : ১২
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৫
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮১
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮১
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৮
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৮৬৮

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x