আইন মেনেই হবে বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড সম্প্রচার
সরকারের আইন ও নিয়ম মেনেই বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড সম্প্রচারের মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) ও ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) নেতারা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড সম্প্রচারের সমস্যা সমাধানে অ্যাটকো ও কোয়াবের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনা শেষে এ কথা জানান অ্যাটকো ও কোয়াবের সভাপতি।
এ সময় অ্যাটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ক্লিনফিডের বিষয়ে সিদ্ধান্তে শুধু দেশের টেলিভিশনগুলো লাভবান হবে না, সরকারও বিপুল রাজস্ব পাবে।’
অ্যাটকো সভাপতি বলেন, ‘অনেক দেশ থেকেই অনুষ্ঠান চালাচ্ছে, কোনো রকম অনুমতি ছাড়াই। আমাদের দেশে তারা তাদের অ্যাডগুলো দেখাচ্ছে। আমরা কিন্তু কোথাও গিয়ে এমন সুযোগ পাচ্ছি না। কোনো দেশে এমনটা সম্ভব না। নেপাল অনেক আগেই এটা বাস্তবায়ন করেছে। আমি মনে করি এটা আমাদের একটা দাবি ছিল। সরকারেরও ইচ্ছে ছিল। সেই ইচ্ছেটাই পূরণ হচ্ছে ১ অক্টোবর থেকে।’
অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টা এমন না, সরকার হুট করে বলেছে যে ১ অক্টোবর থেকে এ নিয়ম বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ নোটিশটি কিন্তু আগেই দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে কোয়াবের সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ জানান, সারা দেশে ৫৬০টি কন্ট্রোল রুম রয়েছে। সবগুলো কন্ট্রোলরুমে ক্লিনফিডের বক্স বসাতে প্রায় এক থেকে দেড় বছর সময়ের প্রয়োজন। এরপরও সরকারের নির্দেশনা মেনে ব্যবসা করার প্রতিশ্রুতি দেন কোয়াব সভাপতি।
কোয়াব সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় যে নির্দেশনা দেবে সেই নির্দেশনা মেনে আমরা ব্যবসা পরিচালনা করব। কাল আমাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী কাল রাতেই আমরা চ্যানেলগুলো আপ করে দিয়েছি। এটার মধ্যে যদি বিজ্ঞাপন থেকে থাকে তার দায়ভার আমার না, যেহেতু আমাদের তথ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি দিয়েছে। এভাবে যদি আমাকে আরও কিছু চ্যানেলের তালিকা দেওয়া হয়, আমরা অবশ্যই সেগুলো পরিচালনা করব।’
আগামী ৭ অক্টোবর আবারও আলোচনায় বসবে অ্যাটকো ও কোয়াবের নেতারা। সেই আলোচনায় সংকট সমাধান হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন উভয় সংগঠনের নেতারা।