আড়াই মাস পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে ট্রেন

আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার থেকে চালু হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন। হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনটির মর্যাদা অবদমিত করে ‘ডি’ ক্লাসের স্টেশন হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছে রেলওয়ে। বর্তমানে সনাতন পদ্ধতিতে চলছে ট্রেন। সেই সঙ্গে প্রাথমিকভাবে রেললাইন সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে।
এদিকে, দীর্ঘ ৮০ দিন পর এই স্টেশনটিতে ট্রেন যাত্রাবিরতি করায় স্বস্তি ফিরেছে এই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের মধ্যে। তাদের দাবি, দ্রুত সংস্কার শেষে স্টেশনটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মর্যাদা অবদমিত করে হলেও পাঁচ জোড়া ট্রেনের যাত্রাবিরতির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন। সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে ঘিরে হেফাজতের বিক্ষোভ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে প্যানেল বোর্ডসহ সিগনালিং ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ায় স্টেশনটিতে সব ধরনের ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। সেই সঙ্গে গত দুই মাস ২০ দিনে অন্তত আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়।
দুর্ভোগ লাঘবে সাময়িকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে ‘ডি’ ক্লাস স্টেশনে রূপান্তর করে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার থেকে সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ও কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করছে। আগামীকাল বুধবার থেকে নিয়মিত যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস। সিগনালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ট্রেন থামবে গার্ড ও চালকের সমন্বয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে।
স্টেশন মাস্টার সোয়েব মিয়া জানান, সিগনালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গার্ড ও চালকের সমন্বয়ে ট্রেনে যাত্রী ওঠানামা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিগনালিং ব্যবস্থা মেরামত করা হবে। স্টেশনটি দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।