ইভ্যালির রাসেল–শামীমা দম্পতির বিচার শুরু
প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান আজ বুধবার এ আদেশ দেন। এর মাধ্যমে রাসেল-শামীমার বিচার শুরু হলো।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী আনোয়ারুল হক।
রাসেলের আইনজীবী আহসান হাবীব বলেন, ‘ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমার বিরুদ্ধে প্রথম কোনো মামলায় আজ বিচার শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত।’
আরিফ বাকের ও তাঁর বন্ধুরা ইভ্যালির ‘চমকপ্রদ’ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে কিছু পণ্যের অর্ডার করেন। গত বছরের ২৯ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত আরিফ পণ্যের মূল্য বাবদ তিন লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা অনলাইন ব্যাংকিং ও একটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। পণ্য ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরতের অঙ্গীকার করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
সর্বশেষ গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহকসেবা শাখায় যোগাযোগ করে পণ্য পেতে ব্যর্থ হন আরিফ। এর আগে যতবার যোগাযোগ করা হয়, ততবারই তারা দেব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর আরিফসহ তিনজন ধানমণ্ডির ১৪ নম্বর রোডে ইভ্যালির কার্যালয়ে গিয়ে রাসেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁরা বাধার শিকার হন।
পরে আরিফ বন্ধুদের নিয়ে ইভ্যালির কর্যালয়ে প্রতিনিধিদের সঙ্গে পণ্যের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। একপর্যায়ে ভেতর থেকে রাসেল তাঁকে ভয়ভীতি দেখান এবং তাঁদের টাকা দিতে অস্বীকার করেন। তাঁদের প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। তখন ইভ্যালির চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত হয়ে পণ্য অথবা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। তিনিও তাঁদের ভয়ভীতি, হুমকি দেওয়াসহ চরম দুর্ব্যবহার করেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ইভ্যালি পণ্য বিক্রির নামে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাঁর মতো অসংখ্য গ্রাহকের ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।