উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ ছয় সদস্য কারাগারে

সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরীন রূপাসহ ছয় সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
আদালতে সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ফকির এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, অপর আসামিরা হলেন আল আমিন, আজাদ রনি, রাকিবুল হাসান, নাহিদ হাসান ও রাজু আহম্মেদ।
জিআরও বলেন, এর আগে আসামিদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে দুই দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সে রিমান্ড শেষ হলে আজ আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। পরে বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আগামী ৩০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২১ জানুয়ারি দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর, কাকরাইল ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ইয়ার ডিভাইস ছয়টি, মোবাইল সিম হোল্ডার ছয়টি, ব্যাংকের চেক পাঁচটি, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সাতটি, স্মার্ট ফোন ১০টি, ফিচার ফোন ছয়টি, প্রবেশপত্র ১৮টি ও চলমান পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র তিনটি সেট জব্দ করা হয়। পরের দিন তাদের ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে আদালত প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এজাহার থেকে জানা গেছে, প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয়ের অধীন ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের ৫৫০টি অডিটর পদে নিয়োগের জন্য ২১ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা হয়। ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে তথ্য ছিল—কিছু ব্যক্তি ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার এবং ব্যক্তি পরিবর্তন করে প্রশ্নপত্র ফাঁস, উত্তর সরবরাহসহ অসদুপায় অবলম্বন করতে পারে। এ তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি।