এবার জামালপুরের ‘রানীগঞ্জ যৌনপল্লী’ লকডাউন
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জামালপুরের রানীগঞ্জ যৌনপল্লীকে একমাসের জন্য লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক এ ঘোষণা দেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘যৌনপল্লী এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। চলমান করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নানারকম সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই যৌনপল্লীতে লোকজনের যাতায়াত সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখাই ভালো। তাই আগামী একমাসের জন্য এই যৌনপল্লীকে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এ সময়ে মানবিক কারণে সেখানকার ১১টি বাড়ির ২শ ১১ জন যৌনকর্মীদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। যৌনকর্মীদের জনপ্রতি একমাসের জন্য ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌনকর্মীদের কাছ থেকে ঘরভাড়া ও বিদ্যুৎবিল না নেওয়ার জন্য বাড়ির মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যৌনপল্লীতে জনসাধারণের চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। কেউ এ নির্দেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রানীগঞ্জ যৌনপল্লীতে পুলিশ পাহারা জোরদার করা হয়েছে।’
পরে সভা শেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ বিন হাসান, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী সাদিক, পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিব সিংহ সাহা রানীগঞ্জ যৌনপল্লীতে যান। তারা সেখানকার বাড়ির মালিক ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে লকডাউন নিয়ে আলোচনা করেন এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান।
এর আগে কোরোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দৌলতদিয়া, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুরের যৌনপল্লী লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
ক্যাপশন :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করা জামালপুরের রানীগঞ্জ যৌনপল্লী’। ছবি : এনটিভি