করোনার ঊর্ধ্বগতি : স্কুল-কলেজের প্রতি ১১ নির্দেশনা

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে স্কুল-কলেজের জন্য ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এসব নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে মেনে সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ আদেশে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সব স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য বিধিনিষেধ যথাযথভাবে পালন করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
১১ দফা নির্দেশনা
১. আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
২. এ সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাস্তবতার ভিত্তিতে অনলাইন বা ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফরমে শিখন-শেখানো কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
৩. যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় অব্যাহত রাখবে।
৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধকালীন শ্রেণিকক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগারসহ প্রতিষ্ঠানের সব বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, পানি এবং গ্যাস সংযোগ নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৫. এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার বিষয়টির প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
৬. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিষ্ঠানের জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক শিক্ষক ও কর্মচারীদের দায়িত্বে নিয়োজিত রাখতে পারবেন।
৭. যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস বা ছাত্রীনিবাসে বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছে, তাদের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্রাবাস বা ছাত্রীনিবাসগুলো খোলা থাকবে। তবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
৮. অধিপ্তরের অধীন সব দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীকে অবশ্যই টিকা সনদ নিতে হবে।
৯. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যালয় যথারীতি চালু থাকবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
১০. জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
১১. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।