কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/05/30/noakhali_clash_photo.jpg)
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ ঘটনায় জেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ছয় অনুসারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হড়ান্নাগো বাড়ির সামনের সড়কে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রয়েছেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শামছুল হকের ছেলে সবুজ (৪০), নূর আহম্মদের ছেলে জিসান (২৩), মো. সানি (২৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭) ও নতুন বাজার এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে দিদার (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে ও বসুরহাট পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা তাঁর পক্ষে মিছিল করেন। তাঁরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মিছিল করতে গেলে প্রথমে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। গোলাগুলিতে কাদের মির্জার ছয় অনুসারী গুলিবিদ্ধ হন। তবে এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষ বাদলের কোনো অনুসারীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধরা কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’