খুলনায় কোকেন উদ্ধার মামলায় একজনের ফাঁসি, পাঁচজনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

খুলনায় বহুল আলোচিত ২২ কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার মামলায় ছয় আসামির মধ্যে একজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং বাকি চারজনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজার রায় দিয়েছেন খুলনার জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে দুই আসামির উপস্থিতিতে তিনি এই রায় ঘোষণা করেন।
দায়রা জজ আদালতের পিপি এনামুল হক জানান, রায়ে আসামি বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে গলায় ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া সোহেল রানাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, ছগিরকে ১৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল, এরশাদ ও ফজলুর রহমান ফকিরকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট র্যাব দুই কেজি কোকেনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তখন এত বিপুল কোকেন উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম বলে র্যাব দাবি করেছিল।
ঘটনার দিন খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা মোড় থেকে প্রথমে সোহেল রানা নামে একজনকে ২৩০ গ্রাম কোকেনসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যমতে নগরীর গগনবাবু রোড এলাকার একটি বাড়ি হতে আরিফুর রহমান ওরফে সগিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের তথ্যমতে দাকোপ উপজেলা হতে বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ও ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে পরে টুটপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এস এম এরশাদ আলীকে গেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে রূপসা উপজেলার রাজাপুর হতে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে তিন প্যাকেট কোকেনসহ গেপ্তার করে র্যাব। এই তিন প্যাকেটে দুই কেজি ২০ গ্রাম কোকেন ছিল। র্যাবের পরীক্ষায় এই কোকেন ৮০ শতাংশ সঠিক বলে নিশ্চিত হয়েছিল।