করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে খুলনা বিভাগের সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ বন্ধের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণের চিত্র তুলে ধরে এই সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।

আজ বুধবার বিকেলে ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বরিশাল বিভাগে করোনার সংক্রমণের হার এখনো অনেক কম। সেই তুলনায় খুলনা বিভাগের অবস্থা ভয়াবহ। এর মধ্যে যশোর, বাগেরহাট ও খুলনা জেলার মানুষ উদ্বেগজনকভাবে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। ওই জেলাগুলোতে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যুর হারও বেশি।

ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, বরিশাল বিভাগের সঙ্গে খুলনা, যশোর ও বাগেরহাট জেলা সড়ক পথে সরাসরি যুক্ত। এই জেলাগুলোতে মানুষের আসা-যাওয়ার মাধ্যমে সংক্রমণ বরিশাল বিভাগে অধিক হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই অবস্থায় খুলনা বিভাগের সঙ্গে বরিশাল বিভাগের সড়ক পথে যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সংক্রমণ ঝুঁকি কমবে।

গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ওই সুপারিশ করা হয় উল্লেখ করে এই চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, আমরা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তাবনা এনেছি। করোনা প্রতিরোধে বিভাগীয় কমিশনার দপ্তরের গঠিত কমিটি তা বিবেচনা করে দেখবেন বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বরিশাল বিভাগে আজ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৩২৬ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছেন ২৯০ জন। বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বরিশাল জেলায়। এই জেলায় এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ২১৮ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১২৩ জন। এরপর আক্রান্ত বেশি পটুয়াখালী জেলায় দুই হাজার ৩৫০ জন। এই জেলায় মারা গেছেন ৫৩ জন। ভোলা জেলায় মোট আক্রান্ত এক হাজার ৯৮৪ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬ জন। পিরোজপুরে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৭৯০ জন, মারা গেছেন ৩২ জন। ঝালকাঠি জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৪০২ জন। মারা গেছেন ২৯ জন। বরগুনা জেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩১৩ জন; মৃত্যুবরণ করেছেন এক হাজার ২৩২ জন।