গাড়িচাপায় নিহত কবিরের গ্রামে চলছে শোক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় নিহত সংবাদকর্মী মো. আহসান কবির খানের ঝালকাঠি সদর উপজেলার শিরজুগ গ্রামের বাড়িতে চলছে শোক। ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনেরা। ছেলের এমন মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না তাঁরা।
মা আমেনা বেগম ও বোন তামান্না আক্তারের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে যায়। তাঁদের কান্না দেখে চোখে পানি ধরে রাখতে পারেনি প্রতিবেশীরাও।
ঢাকা থেকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ঝালকাঠির উদ্দেশে মৃতদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে রওনা হয় নিহতের স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের লোকজন। লাশবাহী গাড়ি রাত ৮টায় গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। এরপর জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কবিরের শ্বশুর বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউলকাঠি বাজারে। সেখান থেকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শিরজুগ গ্রামের বাড়িতে। বাবা, মা, বোন ও পরিবারের লোকজন ওই বাড়িতে রয়েছেন। বাড়ির আঙিনায় জানাজা শেষে তাঁর মৃতদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন নিহতের চাচাতো ভাই সংবাদকর্মী জহির ইলিয়াস খান। জানাজায় নিহতের পরিবারের সদস্য, সংবাদকর্মী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
জহির ইলিয়াস খান বলেন, ‘বাবা-মায়ের আদরের সন্তান ছিলেন কবির ভাই। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর আচার-আচরণ ছিল অত্যন্ত শোভনীয়। মানুষের সঙ্গে অল্পতেই সুসম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে ভালোবাসতেন, আগলে রাখতেন। গ্রামের বাড়িতে দুটি জানাজা শেষে তাঁর মৃতদেহ দাফন করা হবে।’
কবিরের বাবা মো. আব্দুল মান্নান খান বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের গাড়ি সাবধানে চালানো উচিত ছিল। একদিন আগে নটর ডেমের ছাত্র মারা গেল, এর পরেও তাদের শিক্ষা হয়নি। আমার ছেলেটাকে ওরা মেরে ফেলল। আমি ওই চালকের বিচার দাবি করছি।’
নিহতের ছোট বোন তামান্না আক্তার বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মতো সড়ক দুর্ঘটনায় আর যেন একটি মৃত্যুও না হয়। এ ধরনের মৃত্যু একটি পরিবারকে শেষ করে দেয়। আমরা গাড়ি চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’