ঘরের মেঝে খুঁড়ে মিলল মায়ের মরদেহ, ছেলে আটক

রংপুরে মাকে হত্যার পর নিজের ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের সিট নাজিরদহ গ্রামের ওই ঘরের মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে মরদেহ। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ছেলে জামিলকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নিহত জমিলা বেগম (৬০) ওই গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী। তিনি পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত শনিবার সকাল থেকে ওই নারীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর থেকে তাঁর স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খুঁজলেও সন্ধান মেলেনি। অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় ঘরে গিয়ে মেঝে উঁচু দেখে স্বজন ও এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এ সময় জামিলকে আটক করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মাকে হত্যার পর ঘরের মেঝে খুঁড়ে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে। পরে এলাকাবাসী কাউনিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ সাড়ে ৮টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আর ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায়।
জামিলের বরাত দিয়ে এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানান, নিহতের স্বামী আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র বাস করেন। মা-ছেলে এই বাড়িতেই থাকতেন। পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার রাতে মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ছেলে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখে সেই ঘরেই এই কয়দিন থেকেছে ছেলে। মানুষের সঙ্গে মাকে খোঁজার ভানও করেছে সে।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, নিহত জামিলার মরদেহ উদ্ধার করে ছেলেকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।