জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিতে ডুবে কৃষকের মৃত্যু
যমুনাসহ শাখা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার এবং জগন্নাথগঞ্জঘাট পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ।
অপরদিকে, আজ বুধবার সকালে ইসলামপুর উপজেলার কাসারিডুবা গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে কটা মণ্ডল (৩৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, দেওয়ানগঞ্জ স্টেশন এলাকায় রেললাইনে পানি উঠে পড়ায় গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে ইসলামপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত রেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার। ফলে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে চলাচলকারী আন্তনগর তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি ইসলামপুর স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত করবে।
এ ছাড়া, জামালপুরের মাদারগঞ্জের মহিষবাথান-মাহমুদপুর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৫০ মিটার ভেঙে ১০টি গ্রামে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে।
যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ শাখা নদীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সদরের মেষ্টা, কেন্দুয়া, তিতপল্লা, মাদারগঞ্জের কড়ুইচুড়া, গুনারিতলা; সরিষাবাড়ীর পিংনা, আওনা, কামারাবাদসহ বকশীগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল। সব মিলিয়ে জেলার সাতটি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার আন্তইউনিয়ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
স্থানীয় বিভিন্ন বাজার পানিতে ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে দুর্গতদের। দুর্গত এলাকায় প্রকট হয়েছে ত্রাণ সংকট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে অপ্রতুল বলে অভিযোগ বন্যা দুর্গতদের।