ঝালকাঠিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় বিএনপি নেতা কারাগারে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামালকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে পুলিশ তাঁকে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে।
এ সময় রফিকুল ইসলামের জামিন আবেদন করেন আইনজীবী। বিচারক শেখ মো. আনিসুজ্জামান জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়োজাহাজে দেশে আসার পরপরই গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ।
রফিকুল ইসলাম জামাল নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুর থানায় রফিকুল ইসলাম জামালের নামে গত ৭ জুলাই রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। রাজাপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সাব্বির খান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম জামাল তাঁর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে গত ৪ জুলাই রাত ১০টা ৩১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের জড়িয়ে একটি পোস্ট দেন। এতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও প্রধানমন্ত্রীর সম্মান ক্ষুন্ন করা হয়। এ পোস্টটি বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করার সামিল বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
জামালের আইনজীবী মো. শাহাদাত হোসেন জানান, রফিকুল ইসলাম জামাল তাঁর ভাইয়ের অসুস্থতার খবর শুনে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। শনিবার সকাল ১০টায় কাতার এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরার পর তাঁকে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে রাজাপুর থানায় পাঠানো হয়। রাজাপুর থানা পুলিশ আজ রোববার দুপুরে তাঁকে আদালতে হাজির করে।