ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/01/03/dig-mizan.jpg)
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আরো দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে আজ রোববার এই সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষীরা হলেন ডেপুটি কমিশনার আয়েশা সিদ্দিকী ও দুদকের উপপরিদর্শক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। বিচারক আগামী ১৯ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এই মামলায় ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মিজান ছাড়া অপর আসামিরা হলেন ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ছোটো ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল হাসান রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২০১৯ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গেলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। এ সময় মিজানকে তাৎক্ষণিক হাইকোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। পরের দিন ডিআইজি মিজানের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
মিজানুর রহমান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়। নারী নির্যাতনের অভিযোগে গত বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
এরপর দুদক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সামনে আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্তের একটি প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৫ জুন মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
অপরদিকে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য রয়েছে।