তালাক দেওয়ায় মাদকাসক্ত বানিয়ে স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগ
তালাক দেওয়ায় আইনজীবী স্বামীকে মাদকাসক্ত বানিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মাদক নিরাময় কেন্দ্রে আটক রেখে ওই আইনজীবী স্বামীর ওপর চালানো হয়েছে নির্যাতন, মাথা করে দেওয়া হয়েছে ন্যাড়া। আর এখন এসব ঘটনায় করা মামলা তুলে নিতে দেওয়া হচ্ছে হুমকিধামকি।
আজ সোমবার দুপুরে কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ঢাকার সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মলনে এসব অভিযোগ করেন ওই স্বামী মোহাম্মদ শামীম মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে আইনজীবী শামীম বলেন, ‘২০০৮ সালে আইনজীবী মেহনাজ চৌধুরী মিথুনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। নিজেদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় শামীম ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে মেহনাজকে তালাক দেন। তালাক দেওয়ার পর মেহনাজ আইনজীবী শামীমকে মাদকাসক্ত বানানোর চেষ্টা করতে থাকে।’
শামীম আরও বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলের মাদক নিরাময় কেন্দ্র বৃজ-এর কয়েকজন কর্মকর্তার সহায়তায় ২০২১ সালের ৯ মার্চ শামীমের ঢাকার আফতাবনগরের বাসা থেকে শামীমকে অপহরণ করেন মেহনাজ। পরে তাঁকে টাঙ্গাইলের মাদক নিরাময় কেন্দ্র বৃজের পুনর্বাসন কেন্দ্রে আটকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়।’
শামীম দাবি করেন, ‘বৃজের মালিক খোন্দকার মজিবুর রহমান তপন, চেয়ারম্যান শিউলি আক্তার জুঁই, প্রোগ্রাম অফিসার কাউসার রহমান আইনজীবী শামীমের মাথা ন্যাড়া করে দেন।’ আইনজীবী শামীম জানান, দশ দিন পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। এরপর গত বছরের ২৫ মার্চ মেহনাজ চৌধুরী ও বৃজের মালিকসহ দশজনকে আসামি করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন শামীম। পরবর্তীতে আসামিরা মামলায় জামিন পেয়ে শামীমকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
বর্তমানে আইনজীবী শামীম প্রাণ ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে সম্মেলনে জানানো হয়।