শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২৩

গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় গাজীপুর শিল্প পুলিশের শ্রীপুর সাব জুন-২ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত কুমার রায় বাদী হয়ে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় নাম উল্লেখ করে ৬৪ জন শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫০০-২০০০ জন শ্রমিককে। এরই মধ্যে পুলিশ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর এলাকার জিন্নাত নিটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে কারখানাটির আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। চলতে থাকে শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। আন্দোলনে শ্রমিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা শিল্প পুলিশের একটি এপিসি ভাঙচুর করে। এতে ১১ পুলিশ সদস্যসহ প্রায় শতাধিক শ্রমিক আহত হয়।এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ জুন) রাতে গাজীপুর শিল্প পুলিশের শ্রীপুর সাব জুন-২ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত কুমার রায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬৪ জনসহ অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জন শ্রমিককে। এর মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের সোমবার (২ জুন) সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, নিহত শ্রমিক জাকির কারখানার সিঁড়ি দিয়ে কারখানার আটতলা ভবনের ছাদে ওঠে। একটি চিরকুট লিখে ছাদের ওপর পাথর চাপা দেয়। কিছু সময় পায়চারি করে। পায়ের জুতা খুলে চিরকুটের পাশে রাখে। পরে ছাদের রেলিং টপকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে।
নিহত মো. জাকির হোসেন নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাদেচিরাম গ্রামের মোক্তার উদ্দিনের ছেলে। তিনি জিন্নাত নিট ওয়্যার লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
জাকিরের মৃত্যুর ঘটনায় কারখানার শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল থেকে পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আহত হয় ১১ পুলিশসহ প্রায় শতাধিক শ্রমিক। ভাঙচুর করা হয় শিল্প পুলিশের একটি এপিসি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, শিল্প পুলিশ বাদী হয়ে ৬৪ শ্রমিকসহ অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। অভিযুক্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।