সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং রমজান মাস উপলক্ষে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে নওগাঁয় শহরের বিভিন্ন রাস্তা ও কাঁচাবাজারগুলোতে ঘুরতে দেখা গেছে জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশিদকে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, সিও অফিস, মুক্তির মোড়, বাটার মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কাঁচাবাজার ও টিসিবির পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেন তিনি।

বাজার মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশিদ একা বের হওয়ার পর খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও অন্যান্য কর্মকর্তাও ছুটে আসেন জেলা প্রশাসকের কাছে।

এ সময় দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত লকডাউনে যারা বিভিন্ন অজুহাতে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে এবং রিকশাভ্যান ও মোটরসাইকেল নিয়ে বের হচ্ছে তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠান জেলা প্রশাসক। এ ছাড়া কাঁচাবাজারগুলোতে লকডাউনের ভিতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল ও রমজান মাস উপলক্ষে যাতে কেউ অতিরিক্ত দামে জিনিসপত্র বিক্রি করতে না পারে এ বিষয়ে মনিটরিং করেন। সবাইকে বাজার দরের মূল্য তালিকা দোকানের সামনে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশিদ জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সারা দেশের মতো নওগাঁতেও দ্বিতীয় দিনের মতো লকডাউন চলছে। এই লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা সবাই মাঠে কাজ করছি এবং সবাই আমাদের সহযোগিতা করছে। তারপরও যারা কারণে-অকারণে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে, তাদের আমরা সহনশীলভাবে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠাচ্ছি। যারা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে তাদের অবশ্যই মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহ্বান জানাই।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, কাঁচাবাজারগুলোতে যাতে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করে সেজন্য সবাইকে আমরা সচেতন করছি। এ ছাড়া রমজান মাস উপলক্ষে এই লকডাউনের ভিতরে কাঁচাবাজারগুলোতে যাতে কেউ জিনিসপত্রের অতিরিক্ত মূল্যে নিতে না পারে সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। যারা অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।

অপরদিকে সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালাতে দেখা গেছে পুলিশকে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তায় বের হওয়া কারণ জানতে চায় পুলিশ। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুপুরে শহরের মুক্তির মোড় এলাকায় নওগাঁর পুলিশ সুপার মো. আবদুল মান্নান লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। যারা অকারণে বাড়ি থেকে বের হয়েছে তাদের বাড়িতে থাকার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।