নাইকো মামলা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানি ১৯ ফেব্রুয়ারি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আংশিক চার্জ শুনানি করেন। তবে তা শেষ হয়নি। পরে আদালত আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি চার্জ শুনানির পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন।
এদিকে, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং এম এ এইচ সেলিমের পক্ষে চার্জশুনানি করেন তাদের আইনজীবীরা।
কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালে খালেদা জিয়া এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে জামিন নেন। এর আগে ২০১৭ সালের ১৭ জুন মামলাটি বিচারিক আদালতে চলবে বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
নথিতে বলা হয়, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম মামলা করেন। পরে ২০১৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন–বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ (প্রয়াত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (প্রয়াত), সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
আসামিদের মধ্যে মামুন কারাগারে রয়েছেন। ছয়জন জামিনে আছেন। আরেক আসামি কাশেম শরীফ পলাতক।