নৌকার বিরুদ্ধে ভোট চাইলে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার হুমকি

‘এলাকায় ভোট চাইতে এলে তোর হাড়গোড় ভেঙে গুঁড়ো করে দেব’ নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর এমন হুমকির মুখে জনগণের কাছে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোস্তফা কামাল।
আজ শনিবার বিকেলে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশ নেওয়া এই প্রার্থী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই কর্মী মো. শরিফুজ্জামান ও মো. রাশেদুজ্জামান।
মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার নামে ভুয়া মামলা দেওয়া হয়েছে। আমার কর্মীদের মারধর করা ছাড়াও নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছেন তারা।’
আগামী ১১ নভেম্বরের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে ঘিরে অভিযোগ তুলে মোস্তফা কামাল লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘২৭ অক্টোবর প্রতীক নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় কয়ারপাড়ায় আমার ও আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। এর একদিন পর আমার কয়েকজন কর্মীকে রাস্তায় মারধর করা হয়। আমার নির্বাচনী প্রচারণার অফিস, নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সমর্থকদের বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়। তারা এসব ঘটনায় আমাকে প্রধান আসামি করে ৬০ কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। আমিও চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি। এই মামলার পরও আমি এলাকায় যেতে পারছি না। অথচ আসাদুজ্জামান এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন। পাশাপাশি আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি প্রকাশ্যে জনসভায় বলেছেন, ভোটের পরদিন সকালে গুনে গুনে প্রতিশোধ নেবেন। এ ছাড়া আমি এলাকায় গেলে আমার হাত-পা ভেঙে গুঁড়ো করে দেওয়া হবে।’
মোস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছেন মোস্তফা কামাল। আমি বা আমার ছেলেরা কেউ হুমকি দেয়নি। আমরা মারধর করিনি। উভয়পক্ষে মারামারি হয়েছিল। তাতে আমার ছেলেসহ কয়েকজন আহত হন। আমি চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। সবাই মাঠে এসে জনগণের কাছে ভোট চাইতে চাই।’