প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় আজ বিকেলে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি আজ শনিবার বিকেল ৪টায় মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিল দুর্গাপূজার আগে চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজ চা শ্রমিকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করবেন। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রামসহ সারা দেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকরা টানা ১৯ দিন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট পালন করে। এর মধ্যে কয়েক দফা সমঝোতা বৈঠক হয় এবং ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন চা শ্রমিক নেতারা। তা আবার সাধারণ শ্রমিকদের চাপে প্রত্যাখ্যানও করা হয়। গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি নিয়ে শ্রমিক ও বাগানমালিকদের মধ্যে বৈঠক বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তর ঢাকা কার্যালয় অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বাগানমালিক পক্ষ চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৪০ টাকা করার কথা জানায়। পরে শ্রমিকরা মাত্র ২০ টাকা মজুরি বৃদ্ধি মেনে না নিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে। ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ১৪৫ টাকা ঘোষণা আসার পর শ্রীমঙ্গল শ্রম দপ্তরে বিকেলে বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে ১৪৫ টাকা মজুরি নির্ধারণের বিষয়টি শ্রমিকদের জানানো হলে তাৎক্ষণিক মেনে নিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। এর ঘণ্টাখানেক পর চা শ্রমিকরা তা প্রত্যাখ্যান করে মিছিল করে। ২৩ আগস্ট রাত ১০টায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শুরু হওয়া ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা বৈঠক মধ্যরাতে শেষ হয়। আগের মজুরি ১২০ টাকায় কাজে যোগ দেবেন মেনে বৈঠকে আটজন শ্রমিকনেতা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ স্বাক্ষর করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। পরে তারা সাধারণ শ্রমিকদের চাপে তা প্রত্যাখ্যান করেন। ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় গণভবনে মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে ১৭০ টাকা মুজুরি নির্ধারণ হলে চা শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পরের দিন ২৮ তারিখ তারা কাজে যোগ দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট থেকে শ্রমিকরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ধর্মঘটে নামে শ্রমিকরা। ১৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণ হলে ২৭ আগস্ট অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের অবসান ঘটে।