ফেসবুকে মাফ চাওয়ার ২ ঘণ্টা পরই করোনার উপসর্গে সাংবাদিকের মৃত্যু

মৃত্যুর মাত্র দুই ঘণ্টা আগে নিজের শারীরিক অবস্থা ভালো না জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন করোনার উপসর্গে ভোগা চাঁদপুরের এক স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রেসক্লাব ফরিদগঞ্জের দপ্তর সম্পাদক আবুল হাসনাত। এরপরই গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে মৃত্যু হয় তাঁর। চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুর আগে ফেসবুকে সাংবাদিক আবুল হাসনাত লিখেছিলেন, ‘আমার অবস্থা ভালো না। আমাকে সবাই মাফ করে দেবেন। আমার সন্তানদের একটু দেখবেন। আমিন।’
এরপর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই আবুল হাসনাতকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
আবুল হাসনাত ১৯৯০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফরিদগঞ্জে ‘আওয়ামী গুণীজন স্মৃতি সংসদ’ নামে একটি সংগঠন করেন এবং আমৃত্যু এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দৈনিক চাঁদপুর জমিন ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
এদিকে, চাঁদপুর শহরের নিউ ট্রাক রোড এলাকার আবুল খায়ের নামের আরো এক ব্যক্তি গতকাল রাত ১০টার দিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান।
করোনার উপসর্গে মারা যাওয়া এ দুজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। করোনায় সন্দেহভাজন মৃত ব্যক্তি হিসেবে তাঁদের বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হবে বলেও জানানো হয়।