ফ্যামিলি ডে ক্লান্তি দূর করে, বন্ধন অটুট করে : নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি

নবনির্বাচিত রাষ্ট্র্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘জীবনের ক্লান্তি দূর করতে হলে একটু প্রশান্তি দরকার। ফ্যামিলি ডে ক্লান্তি দূর করে, বন্ধন অটুট করে। একদিন হেসে খেলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলে সব বিদ্বেষ দূর হয়ে যায়। ফ্যামিলি ডে পরস্পরের বন্ধন অটুট করে।’
আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পাবনা প্রেসক্লাবের বার্ষিক ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে মো. সাহাবুদ্দিন এ কথা বলেন।
২২তম রাষ্ট্র্রপতি পাবনা প্রেসক্লাবের সব সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুন্দর জীবন ও ফ্যামিলি ডের সফলতা কামনা করে বলেন, ‘আমারও এই অনুষ্ঠানে যোগদানের ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বাধ্যবাধকতার কারণে যোগ দিতে পারিনি।’
রূপকথা ইকো রিসোর্টে ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠানে পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমানসহ উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সম্পাদক ও প্রবীণ সদস্য আব্দুল মতীন খান, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি মীর্জা আজাদ, সহসভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, সহসম্পাদক সরোয়ার উল্লাস, কোষাধ্যক্ষ সুশীল তরফদার, কল্যাণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুইট, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল, ক্রীড়া সম্পাদক কলিট তালুকদার, নির্বাহী সদস্য জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।

ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাব সদস্য পরিবারের শতাধিক সদস্য অংশ নেয়। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করেন জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন।
উল্লেখ্য, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহা. সাহাবুদ্দিন পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের শালগাড়িয়া মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
মো. সাহাবুদ্দিন ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন। ১৯৯৭ সালে গঠিত সংখ্যালঘু নির্যাতন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।