বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী সন্ন্যাসী মেলায় ২৮ কেজির কাতলা মাছ

বাহারি ফল আর মুখরোচক মিষ্টি আর হরেক পদের মাছের কোনটি নেই বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী সন্ন্যাসী মেলায়। প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন বয়সীরা ছুটে এসেছেন এ মেলায়। একদিনের এই মেলাকে ঘিরে আশপাশের গ্রামগুলোতে তিন দিনব্যাপী শুরু হয়েছে জামাই উৎসব। জেলার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পোড়াদহে অনুষ্ঠিত এ মেলায় এবারের বিশেষ আকর্ষণ ২৮ কেজির কাতলা মাছ।
জানা যায়, প্রায় ৪০০ বছর আগে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার গোলাবাড়ি এলাকায় গাড়ীদহ নদী ঘেঁষে বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন সন্ন্যাসীরা। সেখানে এসে আস্তানা গাড়তেন তাঁরা। এর প্রায় ৫০ বছর পর স্থানীয়রা এখানে সন্ন্যাসী পূজার পাশাপাশি শুরু করেন মেলার।
শুরু থেকে প্রতি বছর মাঘ মাসের শেষ বুধবার বসে মেলা। মেলা থেকে মাছ কিনতে আসেন আশপাশের গ্রাম থেকেও।
সরকার বাঘাইড় মাছ ধরা ও কেনাবেচা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে মেলার প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে কাতলা। এবার মেলায় ২৮ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ উঠেছে। এর দাম হাঁকানো হয়েছে ৪২ হাজার টাকা। এ ছাড়াও ২৫ কেজি ও ২২ কেজি ওজনের আরও দুইটি কাতলা মাছ রয়েছে মেলায়।
দিনব্যাপী মেলায় চলেছে জামাই ও শ্বশুরের মাঝে মাছ কেনার প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় মাছের দামও চড়েছে। প্রতি কেজি ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে ১০ কেজি ওজনের রুই।
মেলা উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই ক্রেতাদের চাহিদার বুঝে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় ও নানা সাইজের মাছ আমদানী করেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
সন্ন্যাসী পূজার কার্যকরী কমিটির সভাপতি নিকুঞ্জ কুমার পাল বলেন, ‘এ বছর ৪৫১তম সন্ন্যাসী পূজা উদযাপন হয়েছে। প্রতি বছর সন্ন্যাসী মন্দির ঘেষে অনুষ্ঠিত হতো মেলা। এ বছর পূর্বের স্থানের মেলা ফিরে আসায় খুশি পূজা কার্যকারী কমিটি।’