বান্দরবানে একই পরিবারের ১৬ জনের করোনা শনাক্ত
বান্দরবানে কেন্দ্রীয় হিন্দু মন্দিরের সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাসের পরিবারের ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সচেতন একটি পরিবারেই ১৬ জন আক্রান্তের খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জেলা শহরে। পরিবারটির আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্বাস্থ্যকর্মী, ছাত্রলীগনেতা, করোনা স্বেচ্ছাসেবক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা জানান, কক্সবাজার পিসিআর ল্যাবে পাঠানো নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম দফায় বুধবার করোনা শনাক্ত হন জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মী পদ দাস, তাঁর স্ত্রী শিক্ষক সীমা দাস ও ছোট মেয়ে। পরের দিন দ্বিতীয় দফায় চারজন এবং শুক্রবার রাতে তৃতীয় দফায় আরো নয়জন শনাক্ত হয়েছেন। একই পরিবারে ১৬ জন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা জেলায় প্রথম।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, শুক্রবারের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ জুন মৃত্যু হওয়া বনরুপাপাড়ার বাসিন্দা মো. শাহাজাহানের মেয়ে কালেক্টরেট স্কুলের এক শিক্ষিকা, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের ছেলে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। তার আগের দিন ২৯ জন এবং তারও আগের দিন ১৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সিংহভাগ সদর উপজেলার রোগী। এ নিয়ে বান্দরবান জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ১৬৪ জনে। সুস্থ হয়েছে ৩২ জন।
করোনা আক্রান্ত পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগনেতা লক্ষ্মী পদ দাস বলেন, ‘আমার হালকা জ্বর ও কাশি রয়েছে। পরিবারের সবাই মোটামুটি সুস্থ আছে। খুব বেশি অসুস্থ অবস্থায় নেই কেউই। চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছি। স্বাস্থ্য বিধি মেনেই বাসায় রয়েছি।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১০ জুন বান্দরবান পৌরসভা, সদর ও রুমা উপজেলা তিনটি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করেছে প্রশাসন।