বিয়ের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) একাধিকবার ধর্ষণ করেছে এক যুবক। এর ফলে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে দিন পার করছে।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জের ওই কিশোরী স্কুলে যাতায়াতের সময় আক্তার মিয়ার (২০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সম্পর্কের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত যুবক। এর ফলে ওই কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এদিকে পাঁচ মাস পর শারীরিক পরিবর্তনে বিষয়টি টের পায় কিশোরীর পরিবার। পরে ওই কিশোরী বিষয়টি খুলে বললে তার পরিবার অভিযুক্ত আক্তারের পরিবারকে জানায় এবং মীমাংসার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু ওই যুবকের পরিবার এ ব্যাপারে গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যায়। এরপর কিশোরীর প্রতিবেশীরা স্থানীয়ভাবে গত ১৮ জানুয়ারি একটি শালিস করে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
কিশোরীর চাচা আবু রশিদ জানান, অভিযুক্ত ছেলের বাবা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মীমাংসার বিষয়টি ভেস্তে যায়।
এদিকে এ পরিস্থিতিতে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। সে এখন চরম মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে দিন পার করছে। কোনো উপায় না পেয়ে ওই কিশোরী গত ২৭ জানুয়ারি অভিযুক্ত যুবক আক্তার মিয়া, তাঁর বড় ভাই মিস্টার ও তাঁর বাবা আব্দুস ছাত্তারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটির তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হযরত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আসামিদের ধরতে অভিযান চালানো হবে।’