ভেঙে ভেঙে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন ঝালকাঠি বিএনপির নেতাকর্মী

কেউ মোটরসাইকেলে, আবার কেউ অটোরিকশায়। শত কষ্ট উপেক্ষা করে ঝালকাঠি বিএনপির নেতাকর্মী ছুটছেন বরিশালে। উদ্দেশ গণসমাবেশে যোগদান। ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ড থেকে আজ শুক্রবার দুপুরের পর এমন চিত্র দেখা গেছে। নৌপথেও দেখা গেছে নেতাকর্মীদের ঢল। একটি ট্রলারে একসঙ্গে শতাধিক নেতাকর্মী পাড়ি দিচ্ছেন সুগন্ধা নদী; যাচ্ছেন সমাবেশস্থলে। এসব নেতাকর্মীরা বলছেন, সমাবেশের দিন ক্ষমতাসীনদের হামলার আশঙ্কায় আগেভাগে রওনা হয়েছেন তাঁরা।
ঝালকাঠি জেলা সদর, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া বিএনপি এবং তাদের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনেকে জানান, বাস ও মাইক্রাবাস বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি। এমনকি, বরিশাল যাওয়ার মূল সড়কে সিএনজি, অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রা গাড়িও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এসব বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশের উদ্দেশে ছুটছেন নেতাকর্মীরা।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন বলেন, ‘শত প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে আমি লোকজন নিয়ে বরিশাল যাচ্ছি। অনেকেই আমার মতো মাইক্রোবাস অথবা অটোরিকশা রিজার্ভ করে বরিশাল যাচ্ছেন। একদিন আগেই বরিশাল গিয়ে থাকা নিরাপদ। সমাবেশের দিন হয় তো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে সরকারি দলের লোকজন। আমরা তাই আগেই সমাবেশস্থলে থাকব।’
নলছিটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল কবির রানা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা কয়েকটি ট্রলার রিজার্ভ করেছি। রাতে সমাবেশস্থলে গিয়ে থাকব। অনেকে কাল সকালে যাবেন, তাদের ব্যবস্থাও করে রেখেছি। যদি কোনো যানবাহন যেতে না দেওয়া হয়, আমরা দপদপিয়া সেতু পার হয়ে পায়ে হেঁটেই যাব।’
রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম নান্নু বলেন, ‘বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আমরা ট্রলারযোগে মধ্য রাতে বরিশাল যাব। বিষখালী ও সুগন্ধা নদী দিয়ে সমাবেশে যেতে সময় লাগবে মাত্রা দুই ঘণ্টা। আমার সঙ্গে আরও দুই-তিন শতাধিক নেতাকর্মীরা সমাবেশে যাবে।’
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ নেতাকর্মী ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে পৌঁছে গেছে। আমাদের জেলার টার্গেট ৩০ হাজার লোকের সমাগম, এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের মতো মানুষ বরিশাল পৌঁছেছে।’