মাদরীপুরে কুমার নদের চর উদ্ধারে অভিযান
মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানের দখলে থাকা সরকারি সেই সম্পত্তি উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে কুমার নদে এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে গতকাল এনটিভি অনলাইনে ‘কুমার নদের চর দখল করে ইউপি চেয়ারম্যানের মাছের ঘের’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এলে তারা আজ অভিযান পরিচালনা করেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনউদ্দিনের নেতৃত্বে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানে ছিলেন মাদারীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম, মস্তফাপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আলেয়া আকতার, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের ৫০ নম্বর চতুরপাড়া মৌজার বিআরএস এক নম্বর খতিয়ানে ৬৩৪ নম্বর দাগের বিপুল জমি দখলে ছিল। জমির চার দিকে ছিল ২০ থেকে ২৫ ফুট চওড়া বাঁধ।
বিষয়টি নজরে এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভূমি কমিশনার বরাবর একটি লিখিতপত্র পাঠায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা।
ইউএনও মো. মাইনউদ্দিন বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি কারও দখলের সুযোগ নেই। আমাদের বিষয়টি নজরে এলে জায়গাটিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি।’
গতকাল প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, মাদারীপুরে কুমার নদের চর দখলের পাঁয়তারা চলছে। সেখানে মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান চর দখল করে মাটি কেটে মাছের ঘের তৈরির জন্য বাঁধ নির্মাণ করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ভূমি কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসকও পেয়েছেন এমন অভিযোগ। তিনি সহকারী ভূমি কমিশনারকে বলেছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।
অভিযোগের বিষয়ে সেদিন মস্তফাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান বলেন, ‘ওই জায়গাটি অনাবাদি। তা ছাড়া ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ হয়ে থাকায় ওই জায়গাটিতে মাদকসেবীরা আড্ডা দেয়। আমি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে রেজুলেশন করে জায়গাটা পরিষ্কার করে সবজি চাষ করার জন্য উপযোগী করেছি।’
আর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেছিলেন, ‘আমরা সংবাদ পেয়েছি মস্তফাপুর ইউনিয়নের কুমার নদ দখল করে ভরাট করার চেষ্টা চলছে। আমরা এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দিয়েছি সরেজমিন গিয়ে নদের ম্যাপ অনুযায়ী যে অংশটি দখল হয়েছে, সেখানে উচ্ছেদ অভিযান চালাতে। তা ছাড়া সরকারি সম্পত্তি কারও দখল করার সুযোগ নেই। সবার দায়িত্ব সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা। যদি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে তিনি সরকারি সম্পত্তি দখল করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এরপর আজ এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলো।