মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/02/24/commerce-minister-1.jpg)
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য এফটিএ স্বাক্ষর করা প্রয়োজন। এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে উভয় দেশের আলোচনা অনেক এগিয়ে গেছে। মালয়েশিয়া এগিয়ে এলে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব। এতে করে উভয় দেশ উপকৃত হবে।’
সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সফররত মালয়েশিয়ার বৃক্ষরোপণ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী দাতুক হাজাহ জুরাইদা বিনতে কামারুদ্দিনের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক, হালকা যন্ত্রপাতি ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করছে। বাংলাদেশ ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩০৬.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করেছে। একই সময়ে ১,৫৭৬.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। মালয়েশিয়ার পামওয়েল, ফার্নিচার, চকলেট, ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশে এসকল পণ্যের কারখানা স্থাপন করলে অধিক লাভবান হবে।’
এখানে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, ফলে কম খরচে এ সকল পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ পামওয়েল আমদানি করে থাকে। চলমান ভোজ্যতেলের বিশ্বমূল্য পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া পামওয়েল এর মূল্য কমালে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ থাকবে। বাংলাদেশের ফার্নিচার শিল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত রাজ্যগুলোতে প্রচুর ফার্নিচারের চাহিদা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ প্রায় শেষের পথে। এখানে মালয়েশিয়া ফার্নিচার, কৃষিপণ্য প্রসেসিংসহ সংশ্লিষ্ট শিল্প খাতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে।’
সফররত মালয়েশিয়ার বৃক্ষরোপণ, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার বন্ধু রাষ্ট্র এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। উভয় দেশের চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মালয়েশিয়ার ফার্নিচার, রাবারজাত পণ্য, চকলেট ও শুকনো খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাংলাদেশে রয়েছে। উভয় দেশ বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক। আগত প্রতিনিধি দলের মধ্যে মালয়েশিয়ার ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মাদ জায়েদি বিন মোহা. কারলি, ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি(ইন্টারন্যাশনাল) মিসেস জাইমে ইয়াহ, মালয়েশিয়া পামওয়েল বোর্ড এর ডিরেকটর জেনারেল দাতুক ডা. আহমদ পারভেজ বিন গোলাম কাদির, মালয়েশিয়ার পামওয়েল কাউন্সিল এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আজরিয়াহ বিনতে আজিয়ান, মালয়েশিয়ার টিম্বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মিসেস নোরিদা বিনতে ইউসুফ, মালয়েশিয়ার রাবার বোর্ডের ডিরেকটর জেনারেল দাতো জাইরোসানি বিন মোহা. নূর, মালয়েশিয়ার টিম্বার কাউন্সিলের পরিচালক খায়রুল বিন আনোয়ার সহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।