মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চরাঞ্চল গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন হারুন অর রশিদ(৬০), ফারুক (৪১), আব্দুস সাত্তার (৬২), নুরুল হক (৭০), মোখলেস (৪৫) ও ফয়সাল (২০)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুদিন আগে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের বাসিন্দা আফসার উদ্দিনের ছেলে ফয়সালের সঙ্গে পাশের গ্রাম বালুয়াকান্দির কয়েকজন যুবকের কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার রেশ ধরে আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী নয়নের নেতৃত্বে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ জন হামলা চালায় কদমতলী গ্রামে। এ সময় তারা গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সুরুজ মিয়া প্রধানের দুটি বসতঘরে ভাঙচুর এবং স্থানীয় লোকজনের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এ সময় তাদের হামলায় হারুন-অর-রশিদ, ফারুক, নুরুল হক ও মোখলেস গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় পাঁচজন। হামলাকারীরা ফিরে যাওয়ার পথে ফয়সালকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে। আহতদের মধ্যে ফয়সাল ছাড়া বাকি পাঁচজনকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে মোট পাঁচজন রোগী এসেছে। তার মধ্যে হারুন-অর-রশিদ ও নুরুল হককে শটগান জাতীয় কিছু দিয়ে গুলি করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। বাকিদের গায়ে দেশীয় অস্ত্র এবং রড জাতীয় কিছুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহতদের সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, ‘এ রকম একটি ঘটনার খবর পেয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’