রমেক হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে ঘুষ, বরখাস্ত ২

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেউ মারা গেলে কিংবা ভর্তি, বেড কিংবা চিকিৎসা পেতে হলে পদে পদে গুণতে হয় টাকা। আর টাকা না দিলে জোটে শারীরিক নির্যাতনসহ নানা হয়রানি।
এবার খোদ ওই হাসপাতালের একজন কনসালটেন্টের অসুস্থ মাকে ভর্তি করাতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন স্বয়ং ওই চিকিৎসক ও তার পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ডাক্তার।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রমেক হাসপাতালের অর্থোসার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রাশেদুল আমীরের মা হার্ট অ্যাটাক করলে তাঁকে ভর্তি করাতে নিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী (তিনিও চিকিৎসক) ও স্বজনরা। এসময় জরুরি বিভাগের লোকজন ২৫০ টাকা ভর্তি ফি দাবি করেন। ভর্তি ফি ২৫ টাকা, যদিও ওই হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে তার পরিবারের ভর্তি ফি লাগারও কথা নয়। স্বজনরা রোগীকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসকের মা হিসেবে পরিচয় দিলে ওয়ার্ডবয়রা বলেন, যে স্যারেরই মা হোক না কেন, টাকা দিতেই হবে।
এ ঘটনাটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তোলপাড় হওয়ায় এবং ওই চিকিৎসকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত দুই কর্মচারী মাসুদ ও ঝর্না বেগমকে বরখাস্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া হয়রানির নেপথ্যে আরও কেউ জড়িত আছে কী না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান জানান।
তিনি আরও বলেন, হয়রানির শিকার চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।