শঙ্খ নদে বিলীন হচ্ছে বেড়িবাঁধ-বসতঘর
দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এলাকার বেড়িবাঁধ-বসতঘর বিলীন হচ্ছে শঙ্খ নদে। হুমকির মুখে রয়েছে ৬০০ একর জমির আমন চাষাবাদ। চার কিলোমিটারের বেশি বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। দুই কিলোমিটারের বিভিন্ন স্থানে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।
বেড়িবাঁধ নির্মাণের পর ব্লক না দেওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় এলাকাবাসী দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের মাঝির ঘাট থেকে নাপিত খাল পর্যন্ত চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ কয়েক বছর আগে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের সময় ঠিকাদার অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ায় বেড়িবাঁধ অনেকটা দুর্বল হয়। তার ওপর বেড়িবাঁধে ব্লক নির্মাণ না করায় ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বর্তমানে ফাটল ধরেছে। রব্বাত মিয়ার বাড়ি থেকে মৌলি বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে। ইতোমধ্যে ৪নং ওয়ার্ডে অর্ধশতাধিক বসতঘর ভাঙনে বিলীন হয়েছে।
বর্তমানে আরও শতাধিক ঘরবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। এগুলো ছাড়া চলতি আমন মৌসুমে ৬০০ একর আমন চাষ ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
আগামী শুষ্ক মৌসুমে বেড়িবাঁধ রক্ষায় উদ্যোগ না নিলে পুরো ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ ভাঙনের হুমকিতে পড়বে।
জুঁইদণ্ডী ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ ইদ্রিচ বলেন, ‘নদী ভাঙনের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙন ঠেকাতে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেড়িবাঁধে মাটি ভরাটের কাজ করেছি। বেড়িবাঁধ রক্ষায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুতসংস্কার কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।’
জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে বেড়িবাঁধ সংস্কারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’