শিশুদের জন্য করোনার টিকা কার্যক্রম জুলাইয়ের শেষে : স্বাস্থ্যের ডিজি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. খুরশিদ আলম বলেছেন, ‘চলতি জুলাইয়ের শেষে পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।’
আজ মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যের ডিজি।
ডা. খুরশিদ আলম বলেন, ‘পাঁচ থেকে ১১ বছরের শিশুদের টিকা আলাদা। এটা পয়েন্ট টু এমএলের ডোজ। এই টিকার ভায়াল আলাদা ও সিরিঞ্জ আলাদা। চলতি মাসের শেষ নাগাদ আমাদের বেশ কিছু টিকা ও সিরিঞ্জ এসে পৌঁছাবে। আমরা আশা করছি, চলতি মাসের শেষে এসব শিশুদের করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু করা যাবে।’
ডা. খুরশিদ আলম বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি মিটিং হবে। এরপর একযোগে সারা দেশে কার্যক্রম শুরু করব। প্রাথমিকভাবে আমরা ঢাকা থেকে এই কার্যক্রম শুরু করব, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে চালু করা হবে।’
আজ একদিনের ক্যাম্পেইনে ৭৫ লাখ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. খুরশিদ আলম বলেন, ‘এটা দিন শেষে বলা যাবে। যদি এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হয়, তাহলে আগামীকাল বা পরশু এই কার্যক্রম চলবে।’
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘মানুষের এখন টিকা নেওয়ার আগ্রহ অনেক কমে গেছে। আগে যেরকম ভয়াবহতা ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরে সেই ভয়াবহতা না থাকায় আমরা তাদের মধ্যে আগ্রহ কম দেখছি। আমরা চেষ্টা করছি প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে তাদের আগ্রহ বাড়ানোর। মিডিয়া এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু করোনার প্রকোপ আবার বাড়ছে তাই সবাইকে বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ডা. মো আশরাফুল আলমসহ অধিদপ্তরের অন্য কর্মকর্তারা।