সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে পঙ্গুত্বের পথে রাকিব, গ্রেপ্তার ৫

রাজধানীর পল্লবীতে সিনিয়র গ্রুপ ও জুনিয়র গ্রুপে নামে দুটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। দ্বন্দ্বের জেরে এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এখন সে পঙ্গুত্বের পথে। এ ঘটনায় জুনিয়র গ্রুপের নেতা রমজানসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৪-এর অধিনায়ক ডিআইজি মোজাম্মেল হক।
মোজাম্মেল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুর ও যাত্রাবাড়ী, আশুলিয়া, যশোর এবং ঝালকাঠিতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা রাকিবকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত, তা স্বীকার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রমজান, আল আমিন, ইসমাইল হোসেন ওরফে পপকর্ন, বিজয় ও মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে সাইমন। তাদের বয়স ১৭ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজন ও হামলার শিকার কিশোর রাকিব রাজধানীর মিরপুর-১২ এলাকার বাসিন্দা। ওই এলাকায় সিনিয়র গ্রুপ ও জুনিয়র গ্রুপ নামে দুটি পৃথক কিশোর গ্যাং আছে। এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা ইভটিজিং, ছিনতাই, মাদক সেবন ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে লিপ্ত থাকে। দুটি গ্রুপ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সার্বক্ষণিক দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে থাকে। রাকিব সিনিয়র গ্রুপের সঙ্গে চলাফেরা করত। গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন জুনিয়র গ্রুপের সদস্য।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কিছুদিন আগে জুনিয়র গ্রুপের সদস্য রমজান, আল আমিন, বিজয়, ইয়াসিনসহ আরও পাঁচ থেকে ছয়জন মিরপুর-১২-এর ডি ব্লকে ধূমপান করার সময় তাদের পাশ দিয়ে সিনিয়র গ্রুপের কয়েকজন সদস্য যাচ্ছিল। এ সময় জুনিয়র গ্রুপের সদস্যরা তাদের সম্মান জানায়নি। এ অভিযোগে সিনিয়র গ্রুপের সদস্যরা তাদের চড়-থাপ্পড় মারে।’
এ ঘটনার জের ধরে ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২ এর ব্লক সি’র কাটা গলিতে জুনিয়র গ্রুপের ১২ থেকে ১৫ জন সদস্য দেশীয় অস্ত্র (ছুরি, সুইস গিয়ার চাকু, হকি স্টিক, এসএস পাইপ ও লোহার রড) নিয়ে রাকিবের পথরোধ করে। রমজান হত্যার উদ্দেশে রাকিবকে পেছন থেকে পিঠে উপুর্যপরি চাকু দিয়ে আঘাত করে। আল আমিন, বিজয়, ইয়াসিনসহ অন্যরা রাকিবকে চড়-থাপ্পড়সহ উপুর্যপরি আঘাত করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন ও রাকিবের পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। রাকিব এখনও সেখানে চিকিৎসাধীন।