স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবনে নারী চিকিৎসকের লাশ
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডা. সুলতানা পারভীন (৩৫) নামের গাইনি বিশেষজ্ঞের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবনের কক্ষ থেকে ওই নারী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় মৃতদেহের পাশ থেকে প্যাথেড্রিনের খালি অ্যাম্পুল ও ডায়েরি উদ্ধার করে পুলিশ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানান, ডা. সুলতানা পারভীন প্রায় চার বছর আগে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ হিসেবে যোগ দেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবনের একটি কক্ষে থাকতেন তিনি। গতকাল রোববার সারা দিন কর্মস্থলে না আসায় বিকেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীরা তাঁর আবাসিক ভবনে খোঁজ নিতে গেলে কক্ষের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁরা মেলান্দহ থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সুলতানা পারভীনের কক্ষের তালা ভেঙে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং তাঁর ছোট বোন জামালপুর আসছেন বলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে।
জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রানী সরকার জানান, ওই চিকিৎসকের মৃতদেহের পাশ থেকে প্যাথেড্রিনের পাঁচটি ব্যবহৃত অ্যাম্পুল ও একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। ডায়েরিতে থাকা লেখা পড়ে অনুমান করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। নিহত চিকিৎসক সুলতানা পারভীনের বাড়ি ঢাকার মোহাম্মদপুরে। ব্যক্তি জীবনে অবিবাহিত সুলতানা পারভীন ৩০তম বিসিএসের চিকিৎসক ছিলেন।