হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর লাশ রেখে পালালেন স্বামী
সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্বামী অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনলেও চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যান স্বামী।
গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা মাইজবিলা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া মেস্ত্রীর বড়বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই গৃহবধূর নাম ফরজানা ইয়াছমিন কলি (২০)। চরম্বা ১ নম্বর ওয়ার্ডের আতিয়ার পাড়ার প্রবাসী মোহাম্মদ আজিজ মাস্টারের মেয়ে।
শাশুড়ি রাজিয়া বেগমের দাবি, তিনি বাড়ির টয়লেটে অজ্ঞান অবস্থায় পুত্রবধূকে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিলে আশপাশ লোকজন এগিয়ে এসে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
নিহত গৃহবধূ কলির মা রিজিয়া বেগমের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে বিয়ের পর থেকে স্বামী নির্যাতন করে আসছিলেন। তাঁর মেয়েকে স্বামী জিয়াউর রহমান এবং তাঁর মা মিলে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আড়াই বছর আগে মাইজবিলা এলাকার ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কলির বিয়ে হয়। কলি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এদিকে হাসপাতালে লাশ রেখে স্বামী পালিয়ে গেলেও পালানোর সময় শাশুড়ি রাজিয়া বেগম ও সিএনজি চালক সাদেক স্থানীয়রা আটক করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু, লোহাগাড়া থানার ওসি জাকের হোসাইন মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গৃহবধূর গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় আত্মহত্যা নয়, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শেখ মুহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘হাসপাতালে আসার আগে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তবে, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু জানান, ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।