৮৫ বছরের বৃদ্ধের স্ত্রী ‘শিশু নয়’, প্রাপ্তবয়স্কা
জামালপুরে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের সঙ্গে ‘শিশুর’ বিয়ের খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
আজ বুধবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃদ্ধের সঙ্গে যার বিয়ে হয়েছে, তার বয়স ১৮ বছরের বেশি। তা ছাড়া ওই নারীর সঙ্গে বৃদ্ধের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এর ফলে তিনি গর্ভধারণ করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে দুই পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। গ্রাম্যসালিশে জোর করে বিয়ের অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি।
গত ২০ নভেম্বর সংবাদপত্রের প্রতিবেদন থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ৮৫ বছর বয়সের বৃদ্ধের সঙ্গে ১২ বছরের ওই শিশুর বিয়ের ঘটনাটি সামনে আসে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রাম্যসালিশে ওই বৃদ্ধের নাতি শাহিনের (১৮) অপরাধের দায়ভার দাদার ওপর চাপানো হয়। গ্রাম্যসালিশে বৃদ্ধ মহির উদ্দিনকে ১০ দোররা মেরে তার সঙ্গে শিশুটির বিয়ে দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরে সেটি আমলে নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন জামালপুরের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের।
মহিরের প্রতিবেশীরা জানান, বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেছে। তৃতীয় বিয়ে করেছেন ২৭ বছর আগে। এটি তাঁর চতুর্থ বিয়ে। তিনি সাত সন্তানের জনক।