‘মারজান তার কামের ফল ভোগ করছে’

রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম হোতা নুরুল ইসলাম মারজানের নিহত হওয়ার খবরে কষ্ট পেয়েছেন। তবে এ নিয়ে আক্ষেপ নেই মা সালমা খাতুনের। তিনি মনে করছেন, ছেলে কৃতকর্মের ফল পেয়েছে।
আজ শুক্রবার পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর আফুরিয়া ওয়ার্ডের পাটকিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে এই অনুভূতি প্রকাশ করেন সালমা।
পাটকিয়া এলাকার মো. নাজিম উদ্দিন ও সালমা খাতুনের ১০ সন্তানের মধ্যে মারজান চতুর্থ। তাঁর আসল নাম নুরুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মারজান নিহত হওয়ার খবর জানাজানি হয়। এরপর আজ শুক্রবার সকালে নিজ বাড়িতে বসে তাঁর মা সালমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মারজান তার কামের ফল ভোগ করছে। আমার ছাওয়াল হলিও কষ্ট লাগছে, কিন্তু কী আর করা।’
এদিকে, মারজানের মা-বাবা দুজনেই সাংবাদিকদের জানান, মা-বাবা হিসেবে সন্তানের মৃত্যুর খবরে কষ্ট পেলেও অন্য সন্তানদের কথা ভেবে স্বস্তি পাচ্ছেন তাঁরা। আল্লাহ যেন কাউকে এ রকম সন্তান না দেন—এ কথাও বলেছেন তাঁরা।
এদিকে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কিছু বাসিন্দা জানান, পাবনার এই অঞ্চল জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এর ওপর মারজান গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বেড়ে গিয়েছিল। তাই মারজান নিহত হওয়ার খবরে তাঁদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে।
পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) জিহাদুল কবির মারজান নিহত হওয়ার খবরটি জানিয়ে বলেন, ‘রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় সন্দেহভাজন জঙ্গি নেতা মারজান নিহত হয়েছে।’
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বিষয়টির তদারকি করায় পুলিশ এ নিয়ে খুব বেশি জানতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন জিহাদুল।
পুলিশ সুপার আরো জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র মারজান বহুদিন থেকেই পুলিশের নিখোঁজ ছাত্রদের তালিকায় ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি নুরুল ইসলাম নামে ছাত্রশিবিরের ‘সাথি’ ছিলেন।
গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নুরুল ইসলাম মারজান ও তাঁর সহযোগী সাদ্দাম নিহত হন।