শরীয়তপুরে মাটি কাটার প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল

শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়ায় কীর্তিনাশা নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল করেছে স্থানীয় লোকজন।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে কোটাপাড়া-শরীয়তপুর সড়কে ঘণ্টাব্যাপী ঝাড়ু মিছিল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাটি কাটার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়িসহ কোটাপাড়া-শরীয়তপুর সড়কে ওঠার প্রধান সড়কটি। পূর্ব কোটাপাড়া গ্রামে কীর্তিনাশা নদীর তীরবর্তী মাহড়া বাড়িরঘাট এবং খলিফাবাড়ির ঘাট থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতরা হলেন আনিছ বেপারী, গিয়াস উদ্দিন খলিফা, নুরুল হক খলিফা, হাই বক্স খলিফা, কুদ্দুস পেদা, হাফিজ শেখ, আবদুর রহমান শেখ, মোহাম্মদ আলী শেখ, বিল্লাল শেখ, মোরশেদ শেখ, জাহাঙ্গীর শেখসহ কতিপয় প্রভাবশালী। নদীর তীর থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন তাঁরা। প্রতিদিন স্থানগুলো থেকে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার বর্গফুট মাটি বিক্রি করা হয়। এভাবে মাটি কাটার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর তীরে বসতবাড়িসহ কোটাপাড়া-শরীয়তপুর সড়কে ওঠার একমাত্র রাস্তাটি। প্রতিনিয়ত ট্রাক ও ট্রলি দিয়ে মাটি নেওয়ার কারণে স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যেতে-আসতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। আর প্রতিদিনই ঘটছে কোনো না কোনো দুর্ঘটনা।
পূর্ব কোটাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আবদুল বারেক বেপারী বলেন, ‘নদীর পার এবং সরকারি জায়গা থেকে মাটি উত্তোলন করার কারণে আমাদের ফসলি জমিসহ বাড়িঘর হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের কাঁচা রাস্তাটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন ২৫-৩০ বার ট্রাক এবং ট্রলি দিয়ে মাটি নেওয়ার কারণে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।’
একই গ্রামের মো. শাহজাহান ফরাজী বলেন, ‘অবৈধভাবে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে ধুলাবালিতে শিশু এবং বৃদ্ধরাই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ধুলার কারণে আমাদের পানের বরজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ফল পাইনি।’
এ ব্যাপারে মাটি বিক্রেতা গিয়াস উদ্দিন খলিফা বলেন, ‘সরকারি জায়গায় থেকে আমিসহ অনেকেই মাটি বিক্রি করেছে।’ তবে এভাবে মাটি কাটা ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, মাটি কাটা বন্ধের ব্যাপারে কেউ আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।