তাভেলা হত্যা : সাক্ষ্য দিলেন সাইকেলমিস্ত্রি

ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যা মামলায় সাইকেলমিস্ত্রি জয়নাল আবেদিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের পাশে দোকানে সাইকেল মেরামতের কাজ করছিলেন।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে জয়নাল আবেদিন হাজির হয়ে এ সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষ্য দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিনে আমি ৯০ নম্বর সড়কের পাশে একটি রিকশা-সাইকেল দোকানে মিস্ত্রি হিসাবে কর্মরত ছিলাম। কর্মরত থাকা অবস্থায় দেখতে পাই একজন লোক মোটরসাইকেলে বসে আছে। পরবর্তী সময়ে ওই লোক ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে দেখি হঠাৎ লোকজন জড়ো হয়ে গেছে। তখন শুনি একজন লোক মারা গিয়াছে, তার নাম তাভেলা সিজার।’
আদালতে সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সাক্ষীর জেরা শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে জেরা করেন। জেরা শেষে আগামী ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষীর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। তবে আজ সাক্ষী কোনো আসামিকে শনাক্ত করতে পারেননি।
এ নিয়ে এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
গত বছরের ২৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী।
অভিযোগপত্রে থাকা অন্য আসামিরা হলেন কাইয়ুমের ভাই আবদুল মতিন, তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগ্নে রাসেল, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল।
আসামিদের মধ্যে তামজিদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল ও শাখাওয়াত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
এ ছাড়া আসামি মতিনসহ স্বীকারোক্তি দেওয়া অন্য আসামিরা কারাগারে আটক রয়েছেন। অন্যদিকে কাইয়ুম ও সোহেল পলাতক।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গকে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে এই পরিকল্পনা করা হয়।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, ভাঙারি সোহেলের কাছ থেকে পিস্তল ভাড়া নিয়ে খুনিরা তাভেলা সিজারকে হত্যা করে। মতিনের নির্দেশে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শাখাওয়াতের মোটরসাইকেল নিয়ে মিনহাজুল, তামজিদ ও রাসেল চৌধুরী গুলশান ২-এর ৯০ নম্বর সড়কে যান।
ওই সড়কের গভর্নর হাউসের সীমানাপ্রাচীরের বাইরে ফুটপাতে নিরিবিলি ও অন্ধকার স্থানে তামজিদ গুলি করে তাভেলা সিজারকে (৫১) হত্যা করেন। তাঁকে সহায়তা করেন রাসেল চৌধুরী ও মিনহাজুল।