স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, যুবকের মৃত্যুদণ্ড
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/02/01/photo-1485948657.jpg)
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের মহিপুরে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিশু আদালতের বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জিয়াউর রহমান এ রায় দেন। পাবলিক প্রসিকিউটর জগদুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুবকের নাম আবদুল মালেক (২৮)। তাঁর বাড়ি গোবরাতলা ইউনিয়নের দিয়াড় ধাইনগর গ্রামে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৭ মে সকালে ধাইনগর গ্রামের লক্ষণ ঘোষের মেয়ে কনিকা রানীসহ চার ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মহিপুর এলাকায় দিয়াড় ধাইনগর গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে আবদুল মালেক অতর্কিতে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ওই চার ছাত্রীকে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কণিকা রানী ঘোষকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিন ছাত্রীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঘটনার সময় স্থানীয়রা মালেককে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করে। এ ঘটনায় ওই দিনই কণিকা রানীর মা অঞ্জলি রানী বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুর রশিদ ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আদালত ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া তিন স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে আহত করার দায়ে মালেককে ৩২৪ ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড, ৩২৬ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড এবং ৩০৭ ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আবদুল মালেক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, রায় ঘোষণার পর নিহত স্কুলছাত্রী কনিকার মা অঞ্জলি রানী এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।