মোদির আগ্রহেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক : আনন্দবাজার
ঢাকা সফরের সময় প্রথমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কর্মসূচির তালিকায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের উল্লেখ ছিল না। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করার ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়।
আজ বুধবার ভারতের প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা বিষয়টি জানায়। সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষালের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদি ইচ্ছা প্রকাশ করায় খালেদা জিয়াও বৈঠকের জন্য রাজি হয়ে যান।
আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘ঢাকায় মমতাকে সঙ্গে নিয়ে নয়া প্রত্যাশার জন্ম দিলেন মোদি’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘প্রথমে যে কর্মসূচি সাংবাদিকদের দেওয়া হয়েছিল, তাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদার বৈঠকের উল্লেখ ছিল না। কিন্তু মোদির পক্ষ থেকেই খালেদার সঙ্গে বৈঠক করার ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়। এবং খালেদাও রাজি হন।’
জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গ টেনে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মোদির সফরের আগে বিএনপি ঘোষণা করেছিল, সেই সময় তারা বিক্ষোভ দেখাবে। এ ব্যাপারে বিএনপিকে গোলমাল পাকানোর জন্য ইন্ধন দিচ্ছিল জামাত। কিন্তু খালেদাও জামাতের চাপের কাছে নতিস্বীকার করেননি। খালেদার দল বলেছিল, তিস্তা চুক্তি কেন হচ্ছে না, এই দাবিতে তারা মোদির সামনে বিক্ষোভ দেখাবে। কিন্তু মোদি যাওয়ার পর আমরা দেখলাম, গোটা শহরে কোথাও মোদিবিরোধী বিক্ষোভ দেখাল না বিএনপি। উল্টো মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে খালেদা রাজি হয়ে গেলেন।’
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘(ভারতের) প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের একজন অফিসার আমাকে বলছিলেন, খালেদাকে ঠান্ডা করে রাখতে পারলে আসলে কিন্তু শেখ হাসিনারও লাভ। দেশের স্বার্থরক্ষার প্রশ্নে অনেক ব্যাপারেই প্রধানমন্ত্রী যেমন বিরোধী দল কংগ্রেসকে সঙ্গে রাখতে চান, ঠিক সেই ভাবেই বাংলাদেশে শেখ হাসিনাও খালেদাকে সঙ্গে রাখতে চান জাতীয় বিষয়ে।’
বাংলাদেশ সফরে নরেন্দ্র মোদি ‘খুশি’ জানিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “নরেন্দ্র মোদি কয়েকদিন আগেই আমাকে বলছিলেন, ‘পৃথিবীটা যতই বড় লাগুক, ২০-২৫ জন রাষ্ট্রনায়ক নিরন্তর নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করেন। রাষ্ট্রনায়কদের একটি ক্লাব তৈরি হয়ে গিয়েছে।’ বস্তুত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও এই ক্লাবের সদস্য।”
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, নরেন্দ্র মোদি তাঁর কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন এ সফরে বাংলাদেশ নিয়ে কাজ শেষ নয়, শুরু হলো।
গত ৬ জুন দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সফরের প্রথম দিনই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতে ২২টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, দলিল হস্তান্তর এবং প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঢাকা সফরে আসেন।