‘প্রেমিকাকে’ জবাই, প্রেমিকের মৃত্যু
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/14/photo-1434300475.jpg)
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামে আজ রোববার বিকেলে আর্জিনা খাতুন (১৭) নামের একজনকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনার পর কিছুক্ষণ পর মেয়েটির কথিত প্রেমিক গ্রামের আইয়ুব আলীর (২২) মৃত্যু হয়।
গ্রামের লোকজনের অভিযোগ, বিয়ে ঠিক হওয়ার খবরে আইয়ুব আলী ক্ষুব্ধ হয়ে আর্জিনাকে হত্যা করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রৌমারী উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের মৃত আবদুল হাই আকন্দের মেয়ে আর্জিনা খাতুনের (১৭) সঙ্গে একই উপজেলার চেংটাপাড়ার আইয়ুব আলীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আর্জিনা খাতুন এ বছর এসএসসি পাস করেছে। সম্প্রতি অন্য এক ছেলের সঙ্গে আর্জিনার বিয়ে ঠিক হয়। এ খবরে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আইয়ুব। আজ বিকেলে আইয়ুব দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে আর্জিনার বাড়িতে ঢুকেন। কিছু বুঝে উঠার আগে আর্জিনা খাতুনকে রান্না ঘরে নিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। এরপর পালিয়ে যাওয়ার সময় পথে পড়ে যান আইয়ুব আলী। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) জহুরুল জানান, আইয়ুব আলীর মরদেহ ময়নাতদন্ত করার পর তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এদিকে আর্জিনার মা সাজেদা বেগম বাড়িতে ফিরে রান্না ঘরে মেয়েকে গলা কাটা অবস্থায় দেখতে পান।
আর্জিনার পরিবারের অভিযোগ, আইয়ুব আলী জোর করেই আর্জিনার সঙ্গে প্রেম করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আর্জিনার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তাকে গলা কেটে হত্যা করেছেন।
আর্জিনার মা সাজেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘আইয়ুব আলী মেলা দিন থেইকা আমার মাইয়াকে বিরক্ত করে আসছিল। আর এ কারণে মাইয়ার বিয়া দিবার চাইছিলাম। কিন্তু শয়তানরা তাকে বাঁচতে দিল না। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।’
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আর্জিনা হত্যাকাণ্ডে মেয়েটির প্রেমিকসহ তিনজন জড়িত ছিল বলে আমরা ধারণা করছি। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। আর্জিনা ও আইয়ুবের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।’