দীর্ঘদিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পর র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‍্যাবের হাতে আটক কারাবন্দি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনের চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ শুক্রবার ফরিদপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক খোকনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি জানান তাঁরা।

গত ১৫ জুন ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এলাকা থেকে ২৫টি ককটেল ও ১৫টি পেট্রলবোমাসহ খোকন (৩৯) ও তাঁর আরো দুই সহযোগীকে আটক করা হয় বলে দাবি করেছে র‌্যাব। অন্য দুজন হচ্ছেন ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার মো. আলী ভূঁইয়া (২৮) ও খুলনার সোহাগ গাজী( ২৭)।

পরে র‌্যাব বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করে। র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক খালেদ-উজ-জামান বলেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা খোকনের বিরুদ্ধে গত ৮ মার্চ ঢাকার সূত্রাপুর থানায় এবং পল্টন থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। খোকন দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।

তবে খোকনের ভাই আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, ‘তাঁর ভাইকে গত মার্চ মাসে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পরিচয়ে ঢাকার ধানমণ্ডির বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না আমরা। গত সোমবার জানতে পারি, ফরিদপুরে র‌্যাব তাঁকে উদ্ধার করেছে।’

খোকনের আরেক ভাই ইমরান কারাফটকের বাইরে সাংবাদিকদের জানান, ‘তিন মাসের ওপরে আমার ভাই নিখোঁজ ছিল। তিনি অনেক অসুস্থ। আমাদের সাথে দেখা করে তিনি তাঁর অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। আমরা কারা কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে তাঁর উন্নত চিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।’

এ সময় পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, খোকনের মেরুদণ্ড, হাতের কবজিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা রয়েছে। খোকনের দ্রুত চিকিৎসা করা প্রয়োজন বলে জানান তাঁরা।

এদিকে র‌্যাবের দায়ের করা মামলায় পুলিশ খোকনকে পাঁচদিনের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে। আগামী রোববার আবেদনের শুনানির দিন রয়েছে।